নন্দন দত্ত, সিউড়ি: বৈষ্ণব ধর্মে বিশ্বাস করেন। তাই মৃত্যুর পর এক বৃদ্ধাকে বাড়ির উঠোনেই সমাধিস্থ করলেন তাঁর মেয়ে। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, মায়ের মৃত্যুর খবর কাউকেই জানাননি ওই মহিলা। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বীরভূমের সিউড়িতে। তদন্তে নেমেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার সকালে বাড়ির পিছনে সমাধিটি পরিদর্শন করেন তদন্তকারীরা।
[নদীর ধারে মহিলার অর্ধনগ্ন দেহ উদ্ধার, ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ]
সিউড়ি শহরের চাঁদনিপাড়ায় মেয়ে ও ছেলেকে নিয়ে থাকতেন পঁচাশি বছরের নারায়ণী দাস। তাঁর ছেলে সেবাপ্রিয় মানসিক ভারসাম্যহীন। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন ধরেই বার্ধক্যজনিত অসুখে ভুগছিলেন নারায়ণীদেবী। রবিবার মারা যান তিনি। এরপর কাউকে কিছু না জানিয়ে বাড়ির পিছনে গর্ত করে মায়ের মৃতদেহটি সমাধিস্থ করে দেন ওই বৃদ্ধার মেয়ে লক্ষ্মীপ্রিয়া। ঘটনাটি জানাজানি হতেই চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। সিউড়ি থানায় খবর দেন স্থানীয় বাসিন্দারা। বৃহস্পতিবার সকালে শহরের চাঁদনিপাড়া এলাকায় নারায়ণী দাসের সমাধিটি পরিদর্শন করে গিয়েছেন পুলিশ আধিকারিকরা।
কিন্তু, কেন এমন কাণ্ড ঘটালেন লক্ষ্মীপ্রিয়া দাস? ওই বৃদ্ধার মেয়ের দাবি, পরিবারের সকলেই বৈষ্ণব ধর্মে বিশ্বাস করেন। তাঁর দাদা মানসিক ভারসাম্যহীন। তাই একজন শ্রমিক ডেকে বাড়ির পিছনে গর্ত করে মায়ে্র মৃতদেহটি সমাধিস্থ করেছেন তিনি। কিন্তু, পাড়া-প্রতিবেশীদের কিছু জানালেন না কেন? ডেথ সার্টিফিকেটই বা কোথায়? সদুত্তর মেলেনি। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, মায়ের মৃত্যুর খবর ধামাচাপা দিতেই এমন কাণ্ড ঘটিয়েছেন লক্ষ্মীপ্রিয়া। ঘটনার তদন্তে নেমেছে সিউড়ি থানার পুলিশ।
ছবি: বাসুদেব ঘোষ
[ মালবাজারে বেলাইন ট্রেনের একটি কামরা, বন্ধ ডুয়ার্সগামী রেল পরিষেবা]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.