শুভদীপ রায়নন্দী, শিলিগুড়ি: বিক্ষোভের জেরে সোমবার দুপুরে উত্তাল হয়ে উঠল শিলিগুড়ি পুরনিগম। বেলা বারোটা থেকে মেয়র অশোক ভট্টাচার্যকে ঘেরাও করে অবস্থান বিক্ষোভে শামিল হন এলাকার ৫০০ বৃদ্ধ-বৃদ্ধা। বার্ধক্যভাতার দাবিতে সুর চড়ান তাঁরা। মেয়রের বিরোধিতায় স্লোগানও তোলেন। দীর্ঘ পাঁচ ঘণ্টা পর মেয়রের আশ্বাসে ওঠে বিক্ষোভ।
জানা গিয়েছে, সোমবার সকালে শিলিগুড়ির একাধিক ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের দাবিতে পুরনিগম চত্বরে বিক্ষোভে শামিল হন ৪০ নম্বরের কাউন্সিলর। এর কিছুক্ষণ পর বেলা বারোটা নাগাদ এলাকার প্রায় ৫০০ বৃদ্ধ-বৃদ্ধাকে নিয়ে মেয়রের ঘরের বাইরে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেন ৩৭ নম্বরের কাউন্সিলর রঞ্জন শীল শর্মা। ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে কেন মিলছে না বার্ধক্য ভাতা? কতদিনেই বা মিলবে বকেয়া ভাতা, প্রশ্ন তোলেন তিনি। ভাতার দাবিতে সরব হন বিক্ষোভকারী বৃদ্ধরাও। যদিও অভিযোগ মানতে নারাজ অশোক ভট্টাচার্য। তাঁর কথায়, সকলকে ভাতা দেওয়া হচ্ছে। আগামী মাস থেকে আরও ৪৫০ মানুষকে ভাতা দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি। পাশাপাশি, তৃণমূল কাউন্সিলরের নেতৃত্বে এহেন বিক্ষোভকে অসভ্যতা বলেই কটাক্ষ করে শিলিগুড়ির মেয়র। পুর নির্বাচনের ডঙ্কা বেজেছে বলেই তৃণমূল কাউন্সিলর মিথ্যে অভিযোগ তুলছেন এমন অভিযোগও করেন তিনি।
মেয়রের মন্তব্যের পালটা দেন কাউন্সিলর রঞ্জন শীল শর্মা। তাঁর কথায়, বিগত একবছরে বিক্ষোভকারীরা যে ভাতা পাননি তার সমস্ত প্রমাণ রয়েছে তাঁর কাছে। এদিনের বিক্ষোভের জেরে দীর্ঘক্ষণের জন্য বন্ধ হয়ে যায় পুরসভার কাজ। মেয়র ছাড়াও আটকে পড়েন পারিষদরাও। বাধ্য হয়ে বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ বিক্ষোভকারীদের মুখোমুখি হন মেয়র। ১ মাসের মধ্যে পাওনা ভাতার ব্যবস্থা করার আশ্বাস দেন তিনি। এরপর ওঠে অবস্থান বিক্ষোভ। প্রসঙ্গত, এদিনের বিক্ষোভের জেরে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন মেয়র অশোক ভট্টাচার্য।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.