বাবুল হক, মালদহ: কয়েক বছর ধরে পাড়ার ক্লাবে দূর্গাপুজো হচ্ছে। কিন্তু, পুজোয় তেমন আড়ম্বর নেই। ঘট বসিয়ে নমো নমো করে পুজো করেন ক্লাবের সদস্যরা। অথচ গ্রামে ঘুরে ঘুরে প্রচুর টাকা চাঁদা তোলা হয়। তাহলে চাঁদার টাকা কোথায় খরচ হচ্ছে? প্রতিবাদের মাশুল দিলেন এক বৃদ্ধ। তাঁকে কুপিয়ে খুন করার চেষ্টা হয়েছে বলে অভিযোগ। মালদহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভরতি। ঘটনাটি ঘটেছে মালদহের গাজোলের শাবল গ্রামে। গাজোল থানায় তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই বৃদ্ধের বাড়ির লোকেরা। অভিযুক্তরা পলাতক।
[অভিযোগকারীকেই জেল হেফাজতের নির্দেশ বিচারকের, শোরগোল রামপুরহাট আদালতে]
জানা গিয়েছে, গত কয়েক বছরে গাজোল শাবল গ্রামের দুর্গাপুজো করছেন স্থানীয় একটি ক্লাবের সদস্যরা। তবে মূর্তি নয়, ঘটি বসিয়ে পুজো করা হয়। পুজোর জন্য আবার গ্রামবাসীরা কাছ থেকে ক্লাবের সদস্যরা জোর করে চাঁদা আদায় করেন বলে অভিযোগ। প্রতিবাদ করে আক্রান্ত হলেন নারায়ণ মণ্ডল নামে এক বৃদ্ধ। ওই বৃদ্ধের দাবি, বুধবার রাতে বাড়িতে চড়াও হয় তিনজন যুবক। প্রথমে তাঁদের বোঝানোর চেষ্টা করেছিলেন তিনি। কিন্তু, তাতে কোনও লাভ হয়নি। উলটে ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাঁকে এলোপাথাড়ি কোপাতে শুরু করেন ওই তিন যুবক। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে গাজোলে শাবল গ্রামে। আক্রান্ত নারায়ণ মণ্ডলকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যান পরিবারের লোকেরা। পরে তাঁকে স্থানান্তরিত করা হয় মালদহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। ওই বৃদ্ধের শরীরের একাধিক জায়গায় আঘাত লেগেছে বলে জানা গিয়েছে।
নারায়ণ মণ্ডলের বক্তব্য, গত কয়েক বছর ধরেই দুর্গাপুজো নামে চাঁদার আদায় করছেন ক্লাবের সদস্যরা। সেই টাকা নিজেরাই আত্মসাৎ করছেন। এবছর প্রায় ৭০ থেকে ৮০ হাজার টাকা চাঁদা উঠেছে। গতবার প্রতিবাদ করায় তাঁকে শাসিয়েছিলেন অভিযুক্তরা। গাজোল থানায় তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন আক্রান্তের পরিবারের লোকেরা। অভিযুক্তরা পলাতক। তদন্তে নেমেছে পুলিশ। গত কয়েক বছর ধরে মালদহে চাঁদার নামে জুলুমবাজি রুখতে সক্রিয় প্রশাসন। জুলুমবাজির অভিযোগে বেশ কয়েকটি কালীপুজো বন্ধ করে দিয়েছে পুলিশ।
[ মোমো নয়, কার্শিয়াংয়ের পড়ুয়ার প্রাণ কেড়েছে মারণখেলা ‘ইলুমিনাটি’!]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.