বিপ্লব দত্ত, কৃষ্ণনগর: ১৩ মাসের নাতিকে অনিচ্ছাকৃত খুনের অভিযোগে গ্রেপ্তার দাদুর ১৪ দিনের জেল হেফাজত দিল আদালত। ধৃতের নাম সুনীল ঢালি। জেরায় প্রথমে অস্বীকার করলেও পরে খুনের কথা শিকার করে নেয় ধৃত। অভিযোগ, ক্রন্দনরত নাতিকে থামাতে গিয়ে বুকে চাপ দিয়েছিল দাদু। তাতেই মৃত্যু হয়েছে নাতির। মৃত শিশুটির বাবা মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে সুনীল ঢালিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে অভিযোগ প্রমাণ হওয়ার পর এদিন বিচারক ধৃতকে ১৪দিনের জেল হেফাজত দিয়েছেন। ঘটনাটি নদিয়ার নবদ্বীপের প্রফুল্লনগরের।
বলা বাহুল্য, গত শনিবার প্রফুল্লনগরের এক ধানের জমি থেকে শিশু প্রসেনজিৎ রাজবংশীর মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ছেলের মৃত্যুর খবর পেয়ে মা সুলতাদেবী দাদু সুনীল ঢালির দিকেই অভিযোগের আঙুল তোলেন। স্ত্রীর সঙ্গে সহমত পোষণে করে শ্বশুরকেই দোষী হিসেবে অভিযুক্ত করেন শিশুটির বাবা রাজু রাজবংশী। একমাত্র সন্তানের মৃত্যুতে প্রায় মানসিক স্থিতি হারিয়ে ফেলেছেন বাবা-মা। তাঁরা দু’জনেই কাজ করেন। সকালে ছেলেকে দাদুর কাছে রেখেই কাজে যেতেন। রাতে ফেরার পথে ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে বাড়ি ফিরতেন ওই দম্পতি। সেই ছেলের যদি অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়, তাহলে দাদুর দিকেই আঙুল উঠবে। কেননা নাতি দাদুর সঙ্গেই দিনের বেশিটা সময় কাটায়। কিন্তু মেয়ে জামাইয়ের অভিযোগ মানতে চায়নি সুনীল ঢালি। পুলিশি জেরায় জানায়, নাতিকে ঘরে খেলনাবাটি দিয়ে বসিয়ে জল আনতে গিয়েছিল। ফিরে এসে নাতিকে ঘরে দেখতে পায়নি। এরপর মেয়ে জামাইকে খবর দেওয়া হয়। বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেও নাতির কোনও সন্ধান মেলেনি। পরে পুলিশকে খবর দিলে গ্রামের শেষ প্রান্তের এক ধানের জমি থেকে দেহ উদ্ধার হয়। কীভাবে নাতির মৃত্যু হল তা জানে না দাদু সুনীল ঢালি।
অভিযুক্ত ব্যক্তির বক্তব্যে পুলিশের সন্দেহ হয়। লকআপে আটকে রেখে ফের জেরা করতেই ভেঙে পড়ে সুনীল ঢালি। জানায়, কান্না থামাতে নাতির বুকে চাপ দিয়েছিল। তাতেই প্রসেনজিতের মৃত্যু হয়েছে। এরপরেই ধৃতকে আদালতে তোলা হলে জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.