রাজা দাস, বালুরঘাট: বৃষ্টির ঘাটতি৷ তার জেরে চরম জল সংকটে ভুগছেন চেন্নাইয়ের বাসিন্দারা৷ জলের জন্য বাকবিতণ্ডাও আশ্চর্য নয়৷ সেই ঘটনার আঁচ বাংলাতেও৷ পানীয় জল নেওয়াকে কেন্দ্র করে বিবাদে প্রাণ হারালেন এক বৃদ্ধ। গিরিন দাস নামে ওই বৃদ্ধের মৃত্যুর ঘটনায় নাম জড়িয়েছে কয়েকজন প্রতিবেশীর৷ যদিও জলের সংকটে খুনের তত্ত্ব উড়িয়ে দিয়েছেন বিডিও৷ বৃদ্ধ মৃত্যুর ঘটনায় এখনও থমথমে দক্ষিণ দিনাজপুরের হরিরামপুর থানার বাগিচাপুর অঞ্চলের পাটনিপাড়া৷
জমিতে সেচের জন্য বসানো ব্যক্তিগত সাব মার্সিবল পাম্প থেকে এলাকার মহিলারা জল নেন। নিহত গিরিন দাসের নাতনি রিয়া ওই পাম্প থেকে জল আনতে গিয়েছিল। অভিযোগ, সেসময় প্রতিবেশী মহিলা মিঠু, ভবা, পঙ্কজ, দীপঙ্কররা কিশোরীকে জল নিতে বাধা দেয়৷ অকথ্য গালিগালাজও করা হয় তাকে৷ রিয়া বাড়ি ফিরে যায়৷ মাকে গোটা ঘটনা জানায় কিশোরী৷ মেয়ের কথা শুনে ঘটনাস্থলে যান কিশোরীর মা৷ অভিযোগ, জল নিতে না দেওয়ার কারণ জানতে চাইলে প্রতিবেশী মহিলারা দল বেঁধে তাকে মারধর করে। চেঁচামেচি শুনে বাড়ি থেকে বেরোন মহিলার শ্বশুর গিরিন দাস৷ পুত্রবধূকে বাঁচাতে ঘটনাস্থলে যান তিনি। তর্কাতর্কির মাঝে বৃদ্ধের মাথায় বাঁশ দিয়ে আঘাত করা হয় বলে অভিযোগ৷ ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়েন তিনি। হরিরামপুর গ্রামীণ হাসপাতালে ভরতি করা হয় বৃদ্ধকে। তবে কিছুক্ষণের মধ্যে মারা যান তিনি৷
এই ঘটনায় ৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়েরের সিদ্ধান্ত নিয়েছে নিহতের পরিবার৷ গঙ্গারামপুর মহকুমা পুলিশ আধিকারিক বিপুল বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘এখনও পর্যন্ত থানায় কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি। এলাকায় পুলিশ পিকেট বসানো হয়েছে৷’’ হরিরামপুরের বিডিও বাসুদেব সরকার বলেন, ‘‘সাবমার্সিবল পাম্প থেকে জল নেওয়া নিয়ে প্রতিবেশীদের বিবাদের জেরে এই ঘটনাটি ঘটেছে। এলাকায় জলের তেমন অভাব নেই৷’’ বিডিও যতই অস্বীকার করুন না কেন স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, বৃদ্ধের প্রাণহানির ঘটনার মাধ্যমে জলকষ্টের ছবি ফুটে উঠেছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.