দিব্যেন্দু মজুমদার, হুগলি: মহালয়ার প্রভাতেই দুর্ঘটনা। পিতৃপুরুষের তর্পণ করতে গিয়ে গঙ্গায় তলিয়ে গেলেন হুগলির দুজন। এখনও পর্যন্ত একজনের দেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। আর একজন এখনও নিখোঁজ।
প্রথম ঘটনাটি ঘটে হুগলির হিন্দমোটরের বটতলা ঘাটে। সেখানে গঙ্গায় তর্পণ করতে নেমেছিলেন প্রৌঢ় সুবোধ যশ। জলের তোড়ে হঠাৎই পা পিছলে পড়ে যান তিনি। ঘাটের কাছেই জলে ডুবে যান ওই প্রৌঢ়। প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই খবর যায় উদ্ধারকারী দলের কাছে। উদ্ধার কাজ শুরু করে দেন তাঁরা। প্রায় দু’ঘণ্টার চেষ্টায় উদ্ধার করা যায় তাঁর দেহ। জানা গিয়েছে, পেশায় অধ্যাপক ছিলেন সুবোধ যশ। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি অধ্যাপনা করতেন।
[ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতে আগ্রহী ইসলামপুর কাণ্ডে নিহতদের পরিবার ]
অন্যদিকে তর্পণ করতে গিয়ে দুর্ঘটনা ঘটে হুগলির শেওড়াফুলিতেও। সেখানে পিতৃপক্ষের অবসানে তর্পণ করতে নেমেছিলেন তারকেশ্বরের ব্যবসায়ী সন্দীপ সাঁতরা। হঠাৎই জলের তোড়ে তলিয়ে যান তিনি। এখনও তাঁর দেহ উদ্ধার করা যায়নি। উদ্ধার কাজ চলছে। নিখোঁজ সন্দীপের এখনও কোনও সন্ধান মেলেনি।
পিতৃপক্ষের অবসান আজ। তাই সকাল থেকেই গঙ্গার বিভিন্ন ঘাটে শুরু হয়েছে তর্পণ। এর জন্য কলকাতার প্রতিটি ঘাটে আজ বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা। তর্পণ করতে গিয়ে যাতে কেউ জলে ভেসে না যান, তার জন্য প্রত্যেকটি ঘাটের কাছেই লাগানো হয়েছে জাল। রয়েছে দড়ি ও তার সঙ্গে লাগানো ভাসমান বস্তু। কেউ যদি তলিয়ে যেতে থাকেন, যাতে তাড়াতাড়ি দড়ি ধরে বাঁচতে পারেন, তার জন্যই এই ব্যবস্থা। এর সঙ্গে তৈরি থাকছে ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট গ্রুপ (ডিএমজি)-এর একাধিক টিম। প্রত্যেকটি ঘাটেই থাকছেন ডিএমজি-র সদস্য ও ডুবুরি। তাঁরা ভুটভুটি চড়ে তৈরি থাকছেন ঘাটে। উত্তর বন্দর থানা ও দক্ষিণ বন্দর থানার পক্ষ থেকেও ঘাটের নিরাপত্তা জোরদার করা হচ্ছে। টহলদার জলযান হিসাবে থাকছে পুলিশের চারটি ‘জেট স্কি’-ও।
[ সরাইঘাট এক্সপ্রেস থেকে উদ্ধার বিরল প্রজাতির বানর ]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.