ছবি : প্রতীকী
বিপ্লবচন্দ্র দত্ত, কৃষ্ণনগর: বিশেষভাবে সক্ষমের সার্টিফিকেট নিতে এসে কৃষ্ণনগরে মৃত্যু হল এক বৃদ্ধের। সোমবার সার্টিফিকেট নিতে জেলা হাসপাতালের সামনে লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। আচমকাই অসুস্থবোধ করায় লাইনের পাশে বসে পড়েন। পরে মাটিতেই শুয়ে পড়েছিলেন। অনেক ডাকাডাকি করেও কোনও সাড়া মেলেনি। পরে বোঝা যায় তাঁর মৃত্যু হয়েছে। চিকিৎসকদের প্রাথমিক অনুমান, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।
মৃতের নাম স্বপন পাল। শিমুরালির বাসিন্দা। বয়স ৭৩। তিনি বিশেষভাবে সক্ষম। তাঁদের জন্য সরকারের বিশেষ সার্টিফিকেটের ব্যবস্থা করেছিল। সোমবার অর্থাৎ ২৪ জানুয়ারি সেই সার্টিফিকেট নিতে কৃষ্ণনগর সদর হাসপাতালে এসেছিলেন ৭০-৮০ জন। তাঁদের মধ্যে ছিলেন স্বপনবাবুও।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, লাইনে থাকাকালীন হঠাৎই অসুস্থ হয়ে বসে পড়েন স্বপনবাবু। এর কিছুক্ষণের মধ্যে মৃত্যু হয় তাঁর। কোতোয়ালি থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে জিজ্ঞাসাবাদ করে। পরে ময়নাতদন্তের জন্য স্বপনবাবুর দেহ শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে মর্গে নিয়ে যাওয়া হয়। জানা গিয়েছে, স্বপনবাবু শিমুরালি থেকে একাই কৃষ্ণনগর সদর হাসপাতালে গিয়েছিলেন সার্টিফিকেট আনতে। বেশ কয়েকজন লাইনে দাঁড়িয়েও ছিলেন সার্টিফিকেট নেওয়ার জন্য। তাঁরা জানান. স্বপনবাবু অসুস্থবোধ করায় মেঝের উপর বসেছিলেন। এরপর তিনি সেখানেই শুয়ে পড়েন। তাঁকে ডাকাডাকি করা হলে কোনও সাড়া পাওয়া যায়নি। ওইখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। পরে পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে।
এদিকে নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে বেতন নিয়ে গন্ডগোলের পরে কৃষ্ণনগর সদর হাসপাতালের সুপার ডা. সোমনাথ ভট্টাচার্য চলে গিয়েছেন। তার জায়গায় দায়িত্বে এসেছেন ডা. দেবব্রত দত্ত। সোমবার তিনিও হাসপাতালে ছিলেন না। এদিন সার্টিফিকেট নেওয়ার জন্য জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রায় ৭০-৮০ জন এলেও শেষপর্যন্ত তাঁরা সার্টিফিকেট পাননি। ফলে তাঁদের ফিরে যেতে হয়েছে। তাঁদের অভিযোগ, এর আগেও তাদের সার্টিফিকেট না পেয়ে ফিরে যেতে হয়েছিল। কবে তারা সার্টিফিকেট পাবেন, তা তাঁরা জানতে পারেননি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.