সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, দুর্গাপুর: ভোট মিটেছে, কিন্তু হিংসা অব্যাহত দুর্গাপুরে। নাম সংকীর্তনের অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে শাসকদলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে ধুন্ধুমার কাণ্ড কাঁকসায়। স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান-সহ সাতজন তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে চলল ভাঙচুর। সংঘর্ষে আহত ৮ জন।
ঘটনার সূত্রপাত সোমবার বিকেলে।দুর্গাপুরের কাঁকসার মলানদিঘি গ্রামে পঞ্চায়েতের আকোন্দারা গ্রামে নাম-সংকীর্তনের অনুষ্ঠান চলছিল। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, অনুষ্ঠান চলাকালীন এলাকার একটি শিশুর সঙ্গে মিলন হাজরা নামে এক যুবকের ধাক্কা লাগে। মিলন এলাকায় তৃণমূল কংগ্রেসের সক্রিয় কর্মী হিসেবে পরিচিত। তাঁর বিরুদ্ধে মলানদিঘি ফাঁড়িতে অভিযোগ দায়ের করেন ওই শিশুটির পরিবারের লোকেরা। অভিযোগ, সন্ধ্যায় যখন মিলন ও তাঁর দাদা মলানদিঘির ফাঁড়িতে যান, তখন তাঁদের বাড়িতে চড়াও হয় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতী জাহিরুল মির্জা। বাড়িতে চলে ভাঙচুর, মারধর করা হয় মিলন হাজরা বৃদ্ধ বাবাকেও। এই ঘটনার পরই ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয় বাসিন্দারা। স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান পীষূষ মুখোপাধ্যায়-সহ এলাকার সাতজন তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে পালটা ভাঙচুর চালান তাঁরা। মারধর করা হয় তৃণমূল কর্মীদেরও। পরিস্থিতি এতটাই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে যে, এলাকায় কমব্যাট ফোর্স নামাতে হয়। মঙ্গলবার সকালেও থমথমে মলানদিঘির আকোন্দারা গ্রাম। এলাকায় মোতায়েন প্রচুর পুলিশ।
মলানদিঘি পঞ্চায়েতে আকোন্দারা বাসিন্দাদের অভিযোগ, জাহিরুল কুখ্যাত দুষ্কৃতী। দিন কয়েক আগে মলানদিঘিতে এক বিজেপি নেতা খুন হয়েছিলেন। সেই ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত জাহিরুল। তৃণমূল কংগ্রেসের পঞ্চায়েত প্রধান পীষূষ মুখোপাধ্যায়ের মদতেই এলাকায় সন্ত্রাস চালাচ্ছে সে। জানা গিয়েছে, প্রাণ বাঁচাতে রাতভর কাঁকসা থানায় ছিলেন অভিযুক্ত পঞ্চায়েত প্রধান পীষূষ মুখোপাধ্যায়। মঙ্গলবার ভোরে গ্রামে ফেরেন তিনি। পঞ্চায়েত প্রধানের দাবি, বিজেপি আশ্রিত বহিরাগত দুষ্কৃতীদের তাঁর বাড়িতে হামলা চালিয়েছে।
ছবি: উদয়ন গুহরায়
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.