সুমিত বিশ্বাস, পুরুলিয়া: রাবণ দহনকে ঘিরে পাঞ্জাবের অমৃতসরে অঘটনের পরেও শিক্ষা নেয়নি পুরুলিয়ার ঝালদা পুর শহর। মৌখিক অনুমতিতে পুরভবনের ছাদেই রাবণ দহন! বিতর্কে ঝালদা পুরসভা। পুরপ্রধান প্রদীপ কর্মকারের সাফাই, “ওই পুজো কমিটি আমাদের কাছে কোনও লিখিত অনুমতি নেয়নি। মৌখিকভাবে বলেছিল। আসলে দীর্ঘদিন ধরেই এই অনু্ষ্ঠান পুরসভার ছাদে হয়ে আসছে। তাই কি আর করা যায়। তবে কোনও কিছু হলে তারা বুঝত।” পদাধিকার বলে ঝালদা পুরসভার চেয়ারম্যান আবার পুজো কমিটির প্রধানও বটে।
[ রাতে রেললাইনে বসে গল্প! ট্রেনের ধাক্কায় দুই বন্ধুর মৃত্যু]
শনিবার একাদশীর রাতে পুরুলিয়ার ঝালদা শহরের প্রায় দু’শো বছরের প্রাচীন ঝালদা মধ্যাঞ্চল সর্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটি রাবণ দহনের অনুষ্ঠান করল পুরসভার ছাদে। অমৃতসরের ওই ভয়াবহ ঘটনার দু’দিনের মাথায় পুরভবনের ছাদে রাবণ দহন হওয়ায় ক্ষুব্ধ এলাকার মানুষজন। অথচ গত বছর সুরক্ষার কথা মাথায় রেখেই প্রায় কুড়ি বছর ধরে চলে আসা এই রাবন দহনের অনুমতি দেয়নি পুরসভা। কিন্তু এবার রাবণ দহনকে ঘিরে অমৃতসরের ওই অঘটনের পরেও পুরসভার ছাদে ওই অনুষ্ঠান হওয়ায় প্রশাসনকে লিখিত অভিযোগ জানাতে চলেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। চাষ মোড়-তুলিন রাজ্য সড়কের ওপরই বাঁদিকে ঝালদা পুরসভা। পুরসভার পাশেই এগারো হাজার ভোল্টেজের বিদ্যুৎ সরবরাহ লাইন। বলা যায়, পুরভবনের একেবারে লাগোয়া শহরের অস্থায়ী বাসস্ট্যান্ড। পুরসভার শপিং কমপ্লেক্স, সবজি বাজার, একাধিক ঝুপড়ির দোকান। সেই সঙ্গে জনবসতি। তারপরেও ঝুঁকি নিয়ে পুরসভার ছাদে শনিবার একাদশীর রাতে রাবন পোড়ানো হল বলে অভিযোগ।
কিন্তু, সরকারি ভবনের ছাদে বারণ দহনের অনুষ্ঠান হল কীভাবে? প্রাচীন ঝালদা মধ্যাঞ্চল সর্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটি সম্পাদক স্বপন চক্রবর্তী। তিনি নিজে ঝালদা পুরসভার অবসরপ্রাপ্ত কর্মী। তাঁর বক্তব্য, “আমরা পুরসভার মৌখিক অনুমতি নিয়েছিলাম। গোটা অনুষ্ঠানটা সুষ্ঠুভাবেই হয়েছে। গতবার অনুমতি মেলেনি তাই এই অনুষ্ঠান হয়নি।”
ছবি: সুনীতা সিং
[ প্রেমের টানে কানাডার তরুণী কালনায়, টিনের ঘরে বিদেশি বউ দেখতে ভিড়]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.