অভিষেক চৌধুরী, কালনা: ডাল-ভাতের পরিবর্তে পায়েস ও পিঠে-পুলির মেনু! মিড ডে মিলে এমনই এক আয়োজন দেখে আনন্দে আটখানা মন্তেশ্বরের (Manteswar) প্রান্তিক এলাকার পড়ুয়ারা। জয়রামপুর ত্রিপল্লী অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শুক্রবারের জমজমাটি এই আয়োজনে পেট পুরে খেল তারা। একইসঙ্গের পিঠে-পুলি চেখে দেখলেন সরকারি আধিকারিক ও শিক্ষকরাও। এখানেই শেষ নয়, পড়ুয়াদের আনন্দ দিতে বিদ্যালয়েই পালিত হল পিঠে-পুলি-উৎসব। কচিকাঁচাদের এই আনন্দে শামিল হলেন স্থানীয় বিডিও (BDO) থেকে অবর বিদ্যালয় পরিদর্শকরাও। ঘরের ছেলে ভেবে পড়ুয়াদের মুখে নিজেরাই তুলে দিলেন মিড ডে মিলের নয়া মেনু। শুক্রবারটা একটু অন্যভাবেই কাটল মন্তেশ্বরের এই স্কুলের খুদে ছাত্রছাত্রীদের।
পৌষ মাস মানেই পিঠে, পুলির মরশুম। কিন্তু প্রান্তিক এলাকার দিন আনা দিন খাওয়া অনেক পরিবারেরই সামর্থ্য নেই তা তৈরি। তাই সেইসব পড়ুয়াদের কথা মাথায় রেখে স্কুলের পড়ুয়াদের জন্য ভাজা পিঠে ও পায়েস রান্না হল শুক্রবার। মিড ডে মিলের (Mid day meal) মেনুই বদলে গেল। রোজকার ডাল,ভাত, ডিম, সোয়াবিনের বদলে আজ তারা খেল নলেন গুড়ের পায়েস আর ভাজা পিঠে। পাশাপাশি পিঠেপুলি উৎসবের আয়োজন করেন মন্তেশ্বরের জয়রামপুর ত্রিপল্লী অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
এবারই যে প্রথমবার এই আয়োজন হল, তা নয়। কয়েক বছর ধরেই বাঙালির এই পরম্পরা, রীতির সঙ্গে পড়ুয়াদের পরিচয় করাতে ও এলাকার দরিদ্র পরিবারের পড়ুয়াদের কথা ভেবে পিঠেপুলির মত নবান্ন উৎসবও স্কুলে পালন করা হয় বলে জানান প্রধান শিক্ষক মধূসূদন চট্টোপাধ্যায়। স্কুলের এই অভিনব উদ্যোগ দেখে খুশি বিডিও সঞ্জয় দাস, অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক শ্রীপর্ণা চট্টোপাধ্যায়। তাঁরা জানান, “মিড-ডে মিলে পিঠেপুলি, পায়েসের মত মেনুর আয়োজন, সঙ্গে সঙ্গে পড়ুয়াদের নিয়ে উৎসবের আয়োজন হয়। স্কুলের এই উদ্যোগ সত্যিই অভিনব।”
অন্যদিকে, কচিকাঁচাদের পাতে পিঠে-পায়েস তুলে দিতে পেরে বেশ খুশি মিড ডে মিলের রাঁধুনিরা। তাঁরা জানান, চালের গুঁড়ো, খোয়া ক্ষীর, মুগডাল, মসুরডাল, রাঙা আলু, রিফাইন তেল – এই সমস্ত উপকরণ দিয়ে তৈরি হয় ভাজা পিঠে। ভিতরে থাকে নারকেলের পুর। এছাড়াও ছিল নলেন গুড়ের তৈরি পায়েস। এই উদ্যোগকে কুর্ণিশ জানান সকলে।
দেখুন ভিডিও:
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.