Advertisement
Advertisement

Breaking News

অনুব্রত মণ্ডল

অনুব্রতর পদতলে প্রশাসনিক কর্তা! ‘মহাগুরু’ সম্বোধন করে ফেসবুক পোস্টে প্রবল বিতর্ক

জেলার শিক্ষা আধিকারিকের রাজনৈতিক আনুগত্যের ছবি ভাইরাল।

Education department officer touches Anubrata Mandal's feet
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:November 14, 2019 12:38 pm
  • Updated:August 7, 2021 12:16 pm  

নন্দন দত্ত, সিউড়ি: জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের পদতলে বসে বীরভূমের প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান প্রলয় নায়েক। নিজের ফেসবুকে পোস্ট করা এই ছবি তো ভাইরাল হয়েইছে। বিতর্ক বাড়িয়েছে এই সংক্রান্ত তাঁর পোস্ট করা লেখাটি। যেখানে চেয়ারম্যান অনুব্রতকে ‘মহাগুরু’ বলে সম্বোধন করেছেন। প্রশাসনিক পদে থাকা এক ব্যক্তিত্বের এই রাজনৈতিক বদান্যতা দেখে নানা মন্তব্য, কটূক্তি, সমালোচনা শুরু হয়ে গিয়েছে। বিরোধীদের সমালোচনা, শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান পদটি প্রশাসনিক। সেখানে থেকে রাজনৈতিক নেতার চরণতলে বসা এবং এই সম্বোধন থেকেই স্পষ্ট যে বীরভূমের শিক্ষা ব্যবস্থা কতটা দলদাসে পরিণত হয়েছে।

[ আরও পড়ুন: করিমপুর উপনির্বাচনে প্রচারে ঝড়, একইদিনে সুর চড়াল তিন শিবির]

তৃণমূলের পালটা সাফাই, চেয়ারম্যান হওয়ার আগে পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল শিক্ষক সমিতির প্রলয়বাবু ছিলেন জেলা সম্পাদক। তাই অনুব্রত মণ্ডলের প্রতি তাঁর ব্যক্তিগত শ্রদ্ধাকে পদের সঙ্গে মিলিয়ে দিলে চলবে না। ফেসবুকে প্রলয়বাবু লিখেছেন, ‘মানুষটার কাছে গেলে বোঝা যায়, কতটা নিরাসক্ত তিনি। মায়ের পায়ে জবা হয়েই খুশি।নিজের কিছু চাওয়া নেই, শুধুই মানুষের জন্য কাজ’। তাঁকে ‘মহাগুরু’ বলে সম্বোধন করে প্রলয়বাবু আরও লিখেছেন, ‘রূপকের আড়ালে যেন নীলকন্ঠ, সব বিষ হজম করে যেন চিদানন্দময়। সর্বধর্ম সম্পর্কে গভীর প্রজ্ঞা। শিবপুরাণ, কোরান, গীতা, বেদ, কালিকাপুরাণ, রামায়ণ, মহাভারত নিয়ে গভীর পড়াশোনা’। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যানের এই ‘অতি ভক্তি’ নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক।
বামফ্রন্ট আমলে শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান তথা সিপিএমের জেলা কমিটির সদস্য গৌতম ঘোষের দাবি, কারও প্রতি শ্রদ্ধাভক্তি থাকতেই পারে। কিন্তু প্রশাসনিক পদে বসে কী করা উচিত, কী করা যায় না, তার জ্ঞান থাকা দরকার। বিজেপির জেলা সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘প্রলয়বাবু যোগ্যতায় যে অধম, তা তিনি প্রমাণ করলেন। অযোগ্য ব্যক্তি ওই পদ পাওয়ায় মহাগুরুর চরণ বন্দনা করা উচিত, এটা স্বাভাবিক। আমরা বরং বুঝতে পারলাম, কাদের আদর্শে জেলায় প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থা চলছে।’ সদ্য প্রাক্তন সভাপতি তথা অনুব্রত মণ্ডলের ভাগ্নে রাজা ঘোষের বক্তব্য, এই পদ প্রশাসনিক পদ। আদর্শকে প্রকাশের বিভিন্ন মাধ্যম আছে। তবে ওই পদে বসে অন্য মাধ্যম বেছে নিলে ভাল হত। বিতর্ক কম উঠত।

Advertisement

[ আরও পড়ুন: অভিনব উদ্যোগ মমতার, বুলবুল বিধ্বস্তদের নিত্যপ্রয়োজনে ‘ডিগনিটি কিট’ দিচ্ছে রাজ্য]

আর যাকে ঘিরে বিতর্ক সেই প্রলয় নায়েক বলছেন, ‘আমি নিজে বোলপুরের ছেলে।অনুব্রত মণ্ডলকে জন্মলগ্ন থেকে দেখছি। সেই ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা আমি আমার বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করেছিলাম।’ যদিও এত বিতর্কের মাঝেও নীরব তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। বুধবার তিনি কলকাতায় ছিলেন। তাই এপ্রসঙ্গে এখনও কোনও মন্তব্য করেননি।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement