দিব্যেন্দু মজুমদার, হুগলি: নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় আপাতত ইডি হেফাজতে। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন তদন্তকারীরা। এবার প্রকাশ্যে এল শান্তনু ঘরনির পার্টনারশিপে প্রোমোটিং ব্যবসার হদিশ। চন্দননগর, বলাগড়-সহ একাধিক জায়গায় শান্তনুর বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। আর তাঁর স্ত্রী প্রিয়াঙ্কা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে চন্দননগরের সত্যপীরতলা ও হাওড়ার মুন্সিহাটে প্রোমোটিং ব্যবসার সন্ধান মিলেছে। ওই প্রোমোটিং ব্যবসার সঙ্গে শান্তনুর একটা যোগসূত্র ছিল বলে এলাকার মানুষ দাবি করেছেন।
প্রোমোটার ইন্দ্রনীল চৌধুরী ও দিবাকর মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে পার্টনারশিপে শান্তনুর স্ত্রী প্রিয়াঙ্কা চন্দননগর সত্যপীরতলায় জি টি রোডের উপর একটি জমি কেনেন। পরবর্তীকালে ঐশানি অ্যাপার্টমেন্টের নামে ওই জমি ডেভলপ করা হয়। এই জমিতেই জি প্লাস ফোর বহুতল গড়ে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে। এছাড়া হাওড়ার মুন্সিহাটে ফ্যান্সি মার্কেট নামে একটি আবাসন তৈরি হওয়ার পিছনে প্রিয়াঙ্কার অংশীদারী রয়েছে বলে দাবি অন্যান্য প্রোমোটারদের। চার লক্ষ টাকা বিনিয়োগের মাধ্যমে শান্তনুর স্ত্রী প্রিয়াঙ্কার সঙ্গে চুক্তিও স্বাক্ষর হয়।
জানা যায়, এক মাস আগে ডিআইপি ডেভলপার কোম্পানির কাছ থেকে ইডি প্রিয়াঙ্কা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আর্থিক লেনদেনের সমস্ত তথ্য ও তার উৎস জানতে চায়। এছাড়া প্রিয়াঙ্কার একটি বুটিক রয়েছে। কিন্তু পার্টনারশিপে প্রোমোটিং ব্যবসায় নামার জন্য বিপুল পরিমাণ অর্থ প্রিয়াঙ্কা কোথা থেকে পেলেন তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
এই বিষয়ে ইন্দ্রনীল চৌধুরী বলেন, “অংশীদার দিবাকর মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে একসঙ্গে প্রোমোটিংয়ের ব্যবসা শুরু করি। ২০২০ সালে শান্তনুই তাঁর স্ত্রীকে সঙ্গে পরিচয় করান। বলেন প্রিয়াঙ্কা প্রোমোটিং ব্যবসা করতে ইচ্ছুক। সেই সময় তারা সিদ্ধান্ত নেন তিনজনে মিলে আবাসন তৈরির কাজ করবেন। কিন্তু তখন বিষয়টি নিয়ে এত ভাবনাচিন্তা তাঁরা করেননি।” বর্তমানে শান্তনুর হিসাব বহির্ভূত সম্পত্তির হদিশ মেলায় অস্বস্তিতে পড়েছেন ওই দুই প্রোমোটার। তাই ভবিষ্যতে কাউকে অংশীদার করতে গেলে অনেকবার ভাববেন বলেই জানান ব্যবসায়ী।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.