সুব্রত বিশ্বাস: মন্দার মারে জর্জরিত দেশের অর্থনীতি। ক্ষতির খতিয়ান কিছু কম নয় ভারতীয় রেলেরও। কিন্তু এহেন পরিস্থিতিতেও ব্যতিক্রম পূর্ব রেল। এক অভিনব পন্থায় অপচয় বন্ধ করে লাভের মুখে দেখেছে তারা।
পুরনো লাইন থেকে ওয়াগন, ইঞ্জিনিয়ারিং সরঞ্জামের স্ক্র্যাপ মাল বেচে লকডাউনে ২৯ কোটি টাকা আয় করেছে পূর্ব রেল। এই পদক্ষেপে রেকর্ড আয় হয়েছে বলে দাবি করেছে পূর্ব রেল। এপ্রিল থেকে জুলাই মাসের মধ্যে বেলুড় স্ক্র্যাপ, জামালপুর ও হালিশহর ডিপো থেকে এই মাল বিক্রি হয়েছে অনলাইনে। আসানসোল ১৩২ মেট্রিক টন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের স্ক্র্যাপ সামগ্রী এভাবেই বিক্রি করা হবে বলে পূর্ব রেল ঘোষণা করেছে। যদিও রেল প্রচুর পরিমাণ স্ক্র্যাপ একসঙ্গে একই লটে বিক্রি করায় প্রতিযোগিতা হচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে। এক্ষেত্রে বড় ক্রেতারা নিজেদের ইচ্ছা মতো দামে কিনে নিচ্ছেন। ছোট ব্যবসায়ীরা সেখানে কোনও সুবিধা করতে পারছেন না। রেলের এই নিয়মের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা। বেলুড় স্ক্র্যাপ নিয়ে বরাবরের অভিযোগ, অনলাইনে রিজার্ভ প্রাইজ আগের দিন ঠিক হওয়ামাত্র জেনে যাচ্ছেন এক শ্রেণীর ব্যবসায়ী। ফলে তারা বোঝাপড়ার মাধ্যমে নিলামে পূর্বনির্ধারিত দাম দিয়ে জিনিস কিনে ফেলছেন।
সর্ষের মধ্যে ভূতের অবস্থানের অভিযোগের পাশাপাশি আরও জানা গিয়েছে, বেলুড় স্ক্র্যাপ ইয়ার্ডে লাইন ফিতে মেপে বিক্রি হয়। ফলে সঠিক মাপ দেখানো হয় না। কারচুপির অভিযোগও উঠেছে বারবার। আরপিএফয়ের নজরদারি থাকা সত্বেও কীভাবে তা চোখ এড়িয়ে যাচ্ছে, সে বিষয়েও প্রশ্ন উঠেছে। কোভিড পরিস্থিতিতে তড়িঘড়ি মাল বিক্রিতে যা লাভ হওয়ার কথা তা হয়নি বলে দাবি করেছেন এক শ্রেণীর রেল কর্মীরা। যদিও স্টোর ও মেটেরিয়াল আধিকারিকরা জানিয়েছেন, স্বচ্ছতা রাখতে অনলাইনে স্ক্রাপের নিলাম চলে। আগে এক শ্রেণীর ব্যবসায়ীরা ক্ষমতার জোরে নিলাম কুক্ষিগত রাখলেও এখন তা হয় না।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.