রঞ্জন মহাপাত্র, কাঁথি: মাত্র চার মাসের বিবাহিত জীবন। কর্মসূত্রে স্বামী বাইরে থাকেন। প্রতিবেশীর সঙ্গে বিবাহ-বর্হিভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন এক মহিলা। রাতে স্ত্রীকে প্রেমিকের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ অবস্থায় দেখে ফেলেন ওই মহিলার স্বামী। আর মাথার ঠিক রাখতে পারেননি। দু’জনকেই ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপাতে শুরু করেন তিনি। প্রেমিক ঘটনাস্থলে মারা গেলেও, আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভরতি ওই মহিলা। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুরের ভূপতিনগরের মহিষদা গ্রামে।
[ মোমোর পর এবার ‘ভূতুড়ে’ গ্র্যানির আতঙ্ক, জলপাইগুড়িতে অসুস্থ বহু]
কাজের সুবাদে কলকাতায় থাকেন মহিষদা গ্রামের বাসিন্দা বিশ্বনাথ হাতি। চার মাস আগে বিয়ে হয় তাঁর। গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন, বিয়ের পরপরই ফের নিজের কর্মস্থলে ফিরে গিয়েছিলেন বিশ্বনাথ। গ্রামের বাড়িতে শ্বশুরের সঙ্গে থাকতেন তাঁর সদ্য বিবাহিতা স্ত্রী পিংকি। মহিষদা গ্রামেরই যুবক নাড়ুগোপাল জানা বিবাহিত। তিন সন্তানের বাবা। স্বামীর অনুপস্থিতিতে তাঁর সঙ্গে পিংকির ঘনিষ্ঠতা বাড়ে। গ্রামবাসীদের দাবি, সবার নজর এড়িয়ে গভীর রাতে বিশ্বনাথদের যাতায়াত শুরু করেন নাড়ুগোপাল। ঘটনাটি পাঁচকান হতে সময় লাগেনি। অসুস্থ হয়ে পড়েন পিংকির শ্বশুরমশাই। বউয়ের কীর্তির কথা জেনে যান বিশ্বনাথ হাতিও।
বৃহস্পতিবার রাতে কাউকে কিছু না জানিয়ে গ্রামে ফেরেন বিশ্বনাথ। বাড়ির জানলা দিয়ে উঁকি মেরে স্ত্রীকে নাড়ুগোপালের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ অবস্থায় দেখে ফেলেন তিনি। বিপদ বুঝে পালানোর চেষ্টা করেছিলেন নাড়ুগোপাল। শিলনোড়া দিয়ে তাঁর মাথায় সজোরে আঘাত করেন বিশ্বনাথ। এরপরই ধারালো অস্ত্র দিয়ে স্ত্রীর প্রেমিককে কোপাতে শুরু করেন তিনি। কোপ মারেন স্ত্রীর মাথাতেও। ঘটনাস্থলেই মারা যান নাড়ুগোপাল। কোনওমতে বিশ্বনাথ হাতি আটকান গ্রামবাসীরা। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁর স্ত্রী পিংকিকে প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয় কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে। পরে ওই গৃহবধূকে স্থানান্তরিত করা হয় তমলুক জেলা হাসপাতালে। বিশ্বনাথ হাতিকে আটক করেছে পুলিশ।
[বন্যাত্রাণে সাহায্য করলেই মিলছে জামিন, অভিনব নিদান সিউড়ি আদালতের]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.