রঞ্জন মহাপাত্র, কাঁথি: রাজ্যে ফের চিটফান্ডের হদিশ। পূর্ব মেদিনীপুরের খেজুরিতে রীতিমতো ব্যাংক খুলে কয়েক কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে বেপাত্তা সংস্থার মালিক। মাথায় আমানতকারীদের। তাঁদের অভিযোগ, কম করে পাঁচ থেকে সাত কোটি টাকা নিয়ে চম্পট দিয়েছে সংস্থার কর্ণধার নারায়ণ গিরি। ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুরের খেজুরিতে।
[কেন একাধিক সন্তান, লেবার রুমে নার্সের মার প্রসূতিকে]
২০০৬ সাল। পূর্ব মেদিনীপুরের খেজুরি টিকাশি বাজারে ছোট একটি ঘর ভাড়া নিয়ে চালু হয় টিকাশি প্রগতি মিশন নার্সারি স্কুল। কয়েক বছরের মধ্যেই টিকাশি প্রগতি ফার্মার্স নামে একটি সংস্থাও খুলে ফেলে অভিযুক্ত নারায়ণ গিরি। সোসাইটি আইনে আবার সংস্থাটির নথিভুক্তও করা হয়। ফলে নাবার্ডের বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ পেতে শুরু করে টিকাশি প্রগতি ফার্মার্স। সংস্থার সুনাম বাড়ে। এভাবেই স্থানীয় বাসিন্দাদের বিশ্বাস অর্জন করে নারায়ণ। খেজুরির টিকাশি বাজার এলাকায় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, ওই চিটফান্ড সংস্থাকে স্কুল করার জন্য জমিও দিয়েছিলেন শাসকদলের তৎকালীন পঞ্চায়েত সদস্য বাদল পাল। স্কুল চালুও হয়ে যায়। ব্যবসা আরও বাড়ে। এমনকী, জমি-বাড়ি দেখিয়ে এক সময়ে ব্যাংকিং পরিষেবা শুরু করেন টিকাশি প্রগতি ফার্মার্সের মালিক নারায়ণ গিরি।
২০১৩ সালে প্রকাশ্যে আসে সারদাকাণ্ড। কিন্তু, তাতেও কোনও সমস্যা হয়নি। বরং নোটবন্দির পর টিকাশি প্রগতি ফার্মার্স নামে ওই সংস্থার ব্যবসা আরও ফুলেফেঁপে ওঠে। আমানতকারীদের দাবি, অন্য ব্যাংকের জমানো টাকা সুদ যেমন বেশি পাওয়া যেত, তেমনি আবার চিটফাণ্ড পরিচালিত ব্যাংক থেকে ঝণ মিলত সহজেই। এমনকী, ফিক্সড ডিপোটিজের সুবিধাও ছিল। সমস্যার সূত্রপাত কয়েক মাস আগে। আমানতকারীরা জানিয়েছেন, বেশ কয়েকজন সময়মতো টাকা ফেরত পান নি। কারও কারও আবার চেকও বাউন্স করে। ক্ষোভ বাড়ছিল টিকাশি প্রগতি ফার্মার্সের আমানতকারীদের। সপ্তাহ খানেক আগে হঠাৎ বেপাত্তা হয়ে যায় সংস্থার মালিক নারায়ণ গিরি। আর তাতেই সন্দেহ হয় আমানতকারীদের। টিকাশি প্রগতি ফার্মার্সের মালিকের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন তাঁরা। এদিকে এই ঘটনার পর বন্ধ হয়ে গিয়েছে ওই সংস্থা পরিচালিত একটি স্কুল। ফলে বিপাকে পড়েছেন পড়ুয়া ও অভিভাবকরা।
[ চোর ‘অপবাদে’ পুলিশের মামলা, অপমানে আত্মঘাতী আসানসোলের যুবক
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.