ছবি; মুকুলেশুর রহমান
সৌরভ মাজি, বর্ধমান: প্রাথমিক স্কুলের এক শিক্ষককে থাবড়ে মুখ ভেঙে দেওয়া ও চাবকে পিঠের ছাল তুলে দেওয়ার মতো হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বর্ধমান সদর (উত্তর) মহকুমা শাসকের বিরুদ্ধে। ঘটনার প্রতিবাদে সরব হয়েছেন শিক্ষকরা। ওই শিক্ষক পূর্ব বর্ধমান জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (প্রাথমিক) ও জেলা প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। প্রশাসনের তরফে বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
[ শিক্ষক দিবসে বিশ্বভারতীতে ‘লুঙ্গি ডান্স’! কোমর দোলালেন অধ্যাপকরাও]
বর্ধমান শহরের হরিপদ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক অভিষেক মণ্ডল। তিনি জানিয়েছেন, স্কুলের একমাত্র তিনিই পূর্ণ সময়ের শিক্ষক।তাঁকে নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্ব দিয়েছিল জেলা প্রশাসন।স্কুলের সমস্যার কথা জানিয়ে বর্ধমান সদরের মহকুমা শাসক পুষ্পেন সরকারকে চিঠি দিয়েছিলেন ওই শিক্ষক।নির্বাচনী দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি চেয়েছিলেন তিনি। এরপর হরিপদ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন মহকুমা শাসকের দপ্তরের এক কর্মী।স্কুলের প্রধান শিক্ষকের অভিযোগ, সব কিছু খতিয়ে দেখার পরও কার্যত জোর করে তাঁর ঘাড়ে নির্বাচনের দায়িত্ব চাপিয়ে দেন তিনি। মহকুমা শাসককে চিঠি দেওয়ার বিষয়টি জানালে, দেখে নেওয়ার হুমকি দেন মহকুমা শাসকের দপ্তরের ওই কর্মী। শুধু তাই নয়, প্রাথমিক স্কুলের প্রধান শিক্ষক অভিষেক মণ্ডলকে শোকজ করা হয়।শোকজের জবাবও দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু, জবাবে সন্তুষ্ট হয়নি নির্বাচন দপ্তর। উলটে ওই শিক্ষককে নিঃশর্তে ক্ষমা চাইতে বলা হয়।
হরিপদ প্রাথমিক স্কুলের প্রধান শিক্ষক অভিষেক মণ্ডলের অভিযোগ, মহকুমা শাসক তাঁর কথা না শুনেই বলেন, ‘আপনার চাকরি খেতে কয়েক মিনিট সময় লাগবে। আপনাকে সাসপেন্ড করব, বেতন বন্ধ করব। তিন বছর জেল খাটাব। থাবড়ে মুখ ভেঙে দেব। আপনার এত বড় সাহস নির্বাচনী কাজ করতে অস্বীকার করছেন। আপনাদের চাবকে পিঠের ছাল তুলে দেওয়া উচিত।’ অভিযুক্ত মহকুমা শাসক কোনও মন্তব্য করতে চাননি। জেলাপ্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযোগ খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
[ বিয়ে মানেনি পরিবার, অপমানে আত্মঘাতী নবদম্পতি]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.