স্টাফ রিপোর্টার: বিধানসভায় বামেরা শূন্য। সিপিএমের সদস্য সংখ্যাও কমেছে বহুগুণ। কিন্তু সিপিএমের যুব সংগঠন ডিওয়াইএফআই-এর সদস্য বাড়ছে। এমনই দাবি সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়ের। মঙ্গলবার মীনাক্ষী তথ্য-পরিসংখ্যান তুলে ধরে জানান, শুধু গত বছরেই যুব সংগঠনের সদস্য বেড়েছে ১ লক্ষ ১৭ হাজার। ২০১৯ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত হিসাব করলে ৩ লক্ষের বেশি সদস্যসংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। মীনাক্ষীর দাবি, সাধারণ যুবক নিজেরাই এসে ডিওয়াইএফআইয়ের সদস্যপদ গ্রহণ করছেন। মানুষ পঞ্চায়েত নির্বাচনে নিজেদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিক। ডিওয়াইএফআই রাস্তায় থাকবে।’’
শূন্য থেকে ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া আলিমুদ্দিন। বিজেপি (BJP) নয়, বিকল্প বামেরাই এই স্লোগান তুলে ভোটব্যাংক ফেরাতে একাধিক পরিকল্পনা নিয়ে মাঠে নামছে সিপিএম। মূলত, দলের ছাত্র ও যুব সংগঠনকেই গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে একাধিক কৌশল নিয়েছে বামেরা। প্রথমত, মানুষের দৈনন্দিন জীবনকে প্রভাবিত করে এমন যে কোনও ইস্যুতেই পথে নেমে প্রচার আন্দোলনকে আরও তীব্র করে তোলা। এভাবেই আগামী দিনের ব্লুপ্রিন্ট সাজাচ্ছে আলিমুদ্দিন। রাজ্য পার্টি সূত্রে এমনই খবর।
একুশের বিধানসভা ভোটে বামেদের প্রাপ্ত আসন শূন্য। প্রধান বিরোধী দলের তকমা এখন বিজেপির হাতে। তাই পঞ্চায়েত ভোটকে সামনে রেখে বুথ থেকে শুরু করে প্রচার আন্দোলনে তরুণ ব্রিগেডকে আরও বেশি করে সামনে রাখতে চাইছে বামেরা। বুথে বুথে যে টিম সাজানো হচ্ছে তা পক্ককেশ নয়, কালো চুলের তরুণ ব্রিগেডকে সামনে রেখেই।
৭৮ হাজারের বেশি বুথ রয়েছে রাজ্যে। পার্টির সাংগঠনিক দুর্বলতার কারণে বহু বুথেই কর্মীর অভাব রয়েছে। বুথে লড়াই দেওয়ার মতো লোকও নেই। একাধিক জেলা কমিটি থেকেও রাজ্য পার্টির কাছে এই রিপোর্ট এসেছে। তাই পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগেই বুথে বুথে টিম তৈরি করে নিতে চাইছে আলিমুদ্দিন। গেরুয়া শিবিরকে টেক্কা দিয়ে শক্তিশালী টিম গঠন,পাড়ায়-পড়ায় কর্মসূচি, আন্দোলন করে নিজেদের ভিত আরও শক্ত করে নিতে চাইছে সিপিএম নেতৃত্ব। দলের যুব ও ছাত্র সংগঠনের নেতৃত্বকেই বুথ কমিটির সিংহভাগ দায়িত্ব দিয়ে সামনে রাখার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.