Advertisement
Advertisement
DVC

দুর্যোগের মাঝে জল ছাড়ল ডিভিসি, বাড়ছে প্লাবনের আশঙ্কা

লাগাতার বৃষ্টির জেরে দুর্ভোগ বাড়ছে বাংলার। ডুবছে একাধিক এলাকা। এবার জল ছাড়তে শুরু করেছে ডিভিসি। শনিবার মাইথন ও পাঞ্চেত জলাধার থেকেই জল ছাড়া শুরু হল। দুই জলাধার থেকে মোট ৪৮ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে।

DVC released 48 cusecs water
Published by: Subhankar Patra
  • Posted:August 3, 2024 12:09 pm
  • Updated:August 3, 2024 1:05 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ব্যুরো: লাগাতার বৃষ্টির জেরে দুর্ভোগ বাড়ছে বাংলার। ডুবছে একাধিক এলাকা। এবার জল ছাড়তে শুরু করেছে ডিভিসি। শনিবার মাইথন ও পাঞ্চেত জলাধার থেকেই জল ছাড়া শুরু হল। দুই জলাধার থেকে মোট ৪৮ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে। মাইথন জলাধার থেকে ১২ হাজার ও পাঞ্চেত জলাধার থেকে ৩৬ হাজার কিউসেক জল ছেড়েছে ডিভিসি। জল ছাড়ার ফলে একাধিক নদীর জলস্তর বাড়ছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে ডুবতে পারে হাওড়া, হুগলি, পূর্ব বর্ধমানের নিচু এলাকাগুলি।

এদিকে, ময়ূরাক্ষী নদীতে জল বাড়ার ফলে ভেসে গেল বীরভূমের সাঁইথিয়ার ফেরিঘাট। যার ফলে সাঁইথিয়ার সঙ্গে কার্যত যোগাযোগ বন্ধ অন্যান্য অংশের। বহরমপুর, মহম্মদবাজার এমনকী সিউড়ি যেতে প্রায় ৪০ কিলোমিটার পথ ঘুরতে হচ্ছে স্থানীয়দের। চরম দুর্ভোগে পড়েছেন তাঁরা। অন্যদিকে, বাঁকুড়ার কোতুলপুর ব্লকের ডিঙাল খালের উপর সেতু ভেঙে যাওয়ায় যোগাযোগ বন্ধ। শুধু যোগাযোগ ছিন্ন নয় ভয়ঙ্কর খাল গিলে খাচ্ছে দুপাড়ের তিন ফসলি জমি।

Advertisement

[আরও পড়ুন: বেলা বাড়লে আবহাওয়া বদল? জেনে নিন কী বলছে হাওয়া অফিস]

ময়ূরাক্ষীর ফেরিঘাটই সাঁইথিয়ার পূর্ব ও পশ্চিম পাড়কে যুক্ত করে রেখেছিল। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সাঁইথিয়া শহরকে পূর্ব ও পশ্চিমে ভাগ করেছে রেল। একটি সেতুর মাধ্যমে যোগাযোগ ছিল। মে মাস থেকে সেই সেতুর কাজ চলছে। নতুন ব্রিজ বলে পরিচিত আরও একটি সেতুও বন্ধ। ভরসা একমাত্র ছিল ফেরিঘাট। সেটিও জলের তোড়ে ভেসে গেল। তার জেরে কার্যত যোগাযোগ বিছিন্ন সাঁইথিয়ার।  প্রবেশ করতে পারছে না মালবাহী লরি। যার জেরে ক্ষতির মুখে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা।

অন্যদিকে, বাঁকুড়ার কোতুলপুর ব্লকের ডিঙাল খাল পাড়ের বাসিন্দারা আতঙ্কে দিন কাটাছেন। বর্ষাতে ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছে এই খাল। প্রতিদিন ভাঙন শুরু হয়েছে। বছর কয়েক আগে দুপাড়ের মানুষের এই যোগাযোগ অবিচ্ছিন্ন রাখতে ডিঙাল খালের উপর সেতু তৈরি করেছিল প্রশাসন। কিন্তু তৈরির পর বছর ঘুরতে না ঘুরতেই সংযোগকারী রাস্তা ভাসিয়ে নিয়ে যায় ডিঙাল খালের জল। খাল রুদ্রমূর্তি ধারণ করায় দুই পাড়ের যোগাযোগ বন্ধ। সংযোগকারী রাস্তা না থাকায় চেয়েও বাসিন্দাদের আতঙ্ক হয়ে দাঁড়িয়েছে ভাঙন। ভাঙনের গ্রাসে প্রতিদিন একটু একটু করে খালের গর্ভে তলিয়ে যাচ্ছে ফসলি জমি। যার জেরে চরম অনিশ্চতায় দিন কাটাচ্ছেন বাসিন্দারা।

[আরও পড়ুন: বিয়ে নিয়ে পড়াশোনা! বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি দেবে চিন, তুঙ্গে বিতর্ক]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement