অর্ণব দাস, বারাসত: দত্তপুকুরে যুবক খুন কাণ্ডে দু সপ্তাহ পর উদ্ধার হল কাটা মুন্ডু। ধৃত জলিলকে সঙ্গে নিয়ে মঙ্গলবার সকালে বামনগাছির ডোবায় তল্লাশি চালাতেই পাওয়া গেল মুন্ডুটি। আর এই উদ্ধারে হত্যাকাণ্ডের তদন্ত নয়া মোড় নিল বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। সেইসঙ্গে হত্যাকাণ্ড কেন ঘটিয়েছে, তাও এদিন বিস্তারিত জানিয়েছে ধৃত জলিল। তাতে আরও বিস্ফোরক তথ্য উঠে এসেছে। জানা যাচ্ছে, মঙ্গলবার জলিলকে সঙ্গে নিয়ে বামনগাছি রেলগেটের পাশে পুকুরে ঢিল ছোঁড়া হয়। তাতেই মুন্ডুর অবস্থান মোটের উপর স্পষ্ট হয়। বিপর্যয় মোকাবিলা দলের সদস্যদের নামানো হয় পুকুরে। উদ্ধার হয় কাটা মুন্ডুটি। জলিলই এই পুকুরের কথা জানিয়েছিল তদন্তকারীদের।
গত ২ ফেব্রুয়ারি দত্তপুকুর থানা এলাকার ছোট জাগুলিয়ার এক চাষের খেতে মুন্ডুহীন অবস্থায় উদ্ধার হয় এক যুবকের দেহ। তার মুন্ডুটি দীর্ঘদিন ধরে পাওয়া যায়নি। তদন্তে নেমে বারাসত পুলিশ বিশেষ তদন্ততকারী দল বা SIT গঠন করে। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে তারা বিভিন্ন জায়গা থেকে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করে। সর্বশেষ গ্রেপ্তারি হয় জম্মু থেকে। স্ত্রীকে আগেই গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বরের খোঁজ মেলে। এখানে খুনের পর সে জম্মুতে পালিয়েছিল। সেখানে তল্লাশি চালিয়ে জলিল গাজিকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে আসা হয় এখানে। তাকে জেরা করেই একাধিক বিস্ফোরক তথ্য হাতে আসে তদন্তকারীদের। জেরার চাপে জলিল স্বীকার করে, সে-ই নিহত হজরত লস্করের মাথা কেটে লুকিয়েছিল। তাতে তাকে সাহায্য করেছিল স্ত্রী। তদন্তকারীরা জানতে চান, কাটা মুন্ডুটি কোথায়। তার হদিশও দেয় জলিল।
এরপর মঙ্গলবার তাকে সঙ্গে নিয়েই বামনগাছি স্টেশন লাগোয়া পানাভর্তি পুকুরে তল্লাশি চালায় পুলিশের একটি দল। সঙ্গে ছিলেন বিপর্যয় মোকাবিলা দলের সদস্যরাও। জলিলই তাঁদের পথ দেখিয়ে নিয়ে যায়। পুকুরের ওই নির্দিষ্ট জায়গা থেকে উদ্ধার হয় কাটা মুন্ডুটি। তার পরিবারের সদস্যরা তা শনাক্ত করে কান্নায় ভেঙে পড়েন। মুন্ডু উদ্ধার করে এবার ফরেনসিক তদন্তে পাঠানো হবে বলে খবর। দ্রুতই এই মামলার কিনারা হবে বলে আশাবাদী তদন্তকারীরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.