অর্ণব দাস, বারাসত: দত্তপুকুরের (Duttapukur) নীলগঞ্জ থানার মোছপোল বিস্ফোরণকাণ্ডের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই অন্যতম অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। শফিক আলম নামে বাজি ব্যবসার এক অংশীদারকে নীলগঞ্জ থেকেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এটাই প্রথম গ্রেপ্তারি পুলিশের। তার বিরুদ্ধে খুন, ষড়যন্ত্র-সহ একাধিক ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে বলে খবর দত্তপুকুর থানার পুলিশ সূত্রে। আজ তাকে বারাসত আদালতে পেশ করা হবে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মোছপোল এলাকায় ওই বাজি কারখানার মালিক কেরামত আলির সঙ্গী শফিক। রবিবারের বিস্ফোরণে (Blast) যে ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে কেরামত আলি ও তার ছেলে। ঘটনার পর থেকে শফিক গা ঢাকা দিয়েছিল, তবে এলাকা ছেড়ে বেরতে পারেনি। সোমবার ভোরে তাকে নীলগঞ্জ এলাকা থেকেই গ্রেপ্তার করল পুলিশ। কেরামত আলির অন্যতম সহযোগী এই শফিক। স্থানীয় সূত্রে খবর, শফিকও বাজি ব্যবসার অন্যতম অংশীদার। তবে কেরামতের আরেক সঙ্গী সামসুলের কোনও খবর নেই এখনও। পুলিশের ধারণা, শফিককে জিজ্ঞাসাবাদ করে বাকিদের খোঁজ মিলবে।
রবিবার সকালে আচমকাই বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে বারাসত (Barasat) লাগোয়া দত্তপুকুর থানার নীলগঞ্জ ফাঁড়ির নীলগঞ্জ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার মোছপোল পশ্চিমপাড়া অঞ্চল। প্রায় ধূলিসাৎ হয়ে যায় একটি দোতলা বাড়ি। আশপাশের অন্তত ১০০টি বাড়ির ক্ষতিগ্রস্ত হয়। স্থানীয়দের দাবি, কেরামত এবং সামসুল দু’জনে মিলে বেআইনিভাবে বাজি তৈরি করত। ওই বাজি দোতলা বাড়িতে মজুত করে রাখা হত। তা ফেটেই এমন বীভৎস ঘটনা ঘটেছে। প্রশাসনের নাকের ডগায় বাজি কারখানা চললেও পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি বলেই অভিযোগ। ঘটনায় এনআইএ (NIA) তদন্তের দাবিতে অমিত শাহকে চিঠি লিখেছেন সুকান্ত মজুমদার, শুভেন্দু অধিকারীরা।
এদিকে, বিস্ফোরণকাণ্ডের পর পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝে রবিবার রাতেই রাজ্য পুলিশের ডিজির সঙ্গে কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় (CM Mamata Banerjee)। পুলিশ প্রশাসনকে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দেন। ইতিমধ্যে বম্ব স্কোয়াড ঘটনাস্থলে গিয়ে খতিয়ে দেখেছে সব। ফরেনসিক দলের আজ যাওয়ার কথা মোছপোল এলাকায়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.