স্টাফ রিপোর্টার: অক্ষত অবস্থায় দেবীকে মন্দির থেকে বের করা যায় না৷ পাঁচ পুরোহিত দেবীকে খণ্ড খণ্ড করে ঝুড়িতে ভরে বিসর্জনে নিয়ে যান৷ কোলসরা গ্রামের সিদ্ধেশ্বরী কালীর আরাধনায় এটাই রীতি জামালপুরের কোলসরায়৷
এখানকার সিদ্ধেশ্বরী কালীপুজো এবার ৪৭৭ বর্ষে পড়ল বলে জানা গিয়েছে৷ কোলসরা গ্রামের বাসিন্দারা সিদ্ধেশ্বরীকে এতটাই ভক্তি করেন যে গ্রামে আর কোনও কালীপুজো হয় না৷ গ্রামে একটাই কালীপুজো হয়, সেটা সিদ্ধেশ্বরীর৷ এমনকী গ্রামের কারও বাড়িতে মা কালীর ছবি দেওয়া ক্যালেন্ডার বা অন্য কোনও ছবিও রাখা হয় না৷ কালীরূপে কোনও বহুরূপী এলেও তাকে গ্রামে ঢুকতে দেওয়া হয় না৷
সিদ্ধেশ্বরী কালীর মন্দিরটি রয়েছে গ্রামের শ্মশানের ধারে৷ পঞ্চমুণ্ডির আসনে দেবীর মূর্তি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে৷ দেবীর মূর্তি একটি ত্রিশূলকে বেষ্টন করে থাকে৷ তাই মূর্তিটি ঘরের বাইরে অক্ষত অবস্থায় বের করা সম্ভব হয় না৷ প্রতিমা নিরঞ্জনের আগে পাঁচজন পুরোহিত মূর্তিটি খণ্ড খণ্ড করে দেন৷ তারপর দেবীর বিসর্জন দেওয়া হয়৷
জনশ্রুতি, শের শাহর আমল থেকে এই গ্রামে ঘোষাল পরিবার সিদ্ধেশ্বরীর আরাধনা করে আসছেন৷ শের শাহর উচ্চপদস্থ এক কর্মচারী ঘোষাল পরিবারের পূর্বপুরুষ৷ শের শাহ তাঁকে জিটি রোড নির্মাণের তদারকির কাজে পাঠান এখানে৷ সেই সময় সেই পূর্বপুরুষ দিগম্বর ঘোষাল না কি সিদ্ধেশ্বরীর স্বপ্নাদেশ পান৷ তিনি তা শের শাহকে জানান৷ তখন শের শাহ প্রচুর পরিমাণ জমি দান করেন এবং দেবীর আরাধনা করতে নির্দেশ দেন৷ সালটা ছিল ১৫৪০ খ্রীষ্টাব্দ৷ সেই থেকে কোলসরা গ্রামে সিদ্ধেশ্বরীর আরাধনা হয়ে আসছে৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.