বিক্রম রায়, কোচবিহার: বড়দেবীর ময়না কাঠের পুজো। আর তার মধ্যে দিয়েই কোচবিহারে (Cooch Behar) দুর্গোৎসবের ঢাকে কাঠি পড়ে গেল। রাজ আমলের নিয়ম নীতি মেনে ডাঙরাই মন্দিরে বড়দেবীর পুজোর প্রথম ধাপ হিসেবে ময়না কাঠে পুজো শুরু করা হল। বৃহস্পতিবার ময়না কাঠকে শালু কাপড় পরিয়ে স্নান করানোর পর মন্দিরে বিশেষ পুজো দেওয়া হয়। দেওয়া হয় বিশেষ অন্ন ভোগও।
নিয়ম মেনে বড়দেবীর পুজোয় উৎসর্গ করা হয় জোড়া পায়রা। তাই পায়রা বলি দেওয়া হয়। প্রথা অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজার প্রতিনিধি হিসেবে দুয়ার বক্সির উপস্থিতিতে বাদ্যযন্ত্র সহকারে দেবীরূপী ময়না কাঠকে মদনমোহন বাড়িতে (Madanmohan Temple) নিয়ে আসা হয়। একমাস ধরে সেখানেই পুজো হবে। এরপর রাধাষ্টমীতে সেটা বড়দেবীর মন্দিরে পৌঁছবে। বড়দেবীর মূর্তিতে মেরুদণ্ড হিসাবে সেই কাঠ ব্যবহৃত হয়।
রাজ পুরোহিত হীরেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য বলেন, পাঁচ শতাধিক বর্ষ প্রাচীন এই পুজোর নিয়ম নীতি মেনে শুরু হয়েছে। শ্রাবণ মাসের অষ্টমীতে এই পুজো হয়ে থাকে। তবে এবার মল মাস থাকায় তা বিলম্বিত হয়েছে। এদিন দেবীরূপী ময়না কাঠের বিশেষ পুজো শুরু হয়েছে ডাঙরাই মন্দিরে। সকালে এই পুজোর পর বিকেলে মদনমোহন মন্দির এই ময়না কাঠ নিয়ে আসা হয়েছে। একমাস ধরে সেখানেই প্রতিদিন দেবীর পূজা করা হবে। নিয়ম মেনে কৃষ্ণ অষ্টমীতে বড়দেবীর মন্দিরে পুজো হয়। তারপর রাধাষ্টমীর দিন শেষ রাতে দেবী বাড়িতে এই ময়না কাঠ নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে বিশেষ পুজোর পর ৩ দিন হাওয়া খাওয়ার জন্য রেখে দেওয়ার রেওয়াজ রয়েছে। তারপর ট্রলিতে প্রতিষ্ঠিত করে এই ময়না কাঠকে দেবীর মেরুদণ্ড হিসেবে ব্যবহার করা হবে।
দেবত্র ট্রাস্ট বোর্ড সূত্রের খবর, ময়না কাঠের সমস্যা মেটাতে মদনমোহন বাড়ি চত্বরের কয়েকটি গাছ লাগানো হয়েছিল। তবে এবার সেই গাছ থেকে কাঠ পাওয়া সম্ভব হয়নি। তাই অন্যস্থান থেকে সেটা সংগ্রহ করা হয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.