Advertisement
Advertisement

Breaking News

আর্থিক অভাবে দুর্গাপুরে ধুঁকছে মিশ্র ইস্পাত কারখানা

কেন এই হাল?

Durgapur steel plant incurs loss, limping
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:June 6, 2018 7:12 pm
  • Updated:June 6, 2018 7:12 pm  

সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, দুর্গাপুর: আর্থিকভাবে ধুঁকছে মিশ্র ইস্পাত কারখানা৷ কেন্দ্রীয় সরকার ইতিমধ্যেই বেহাল এই কারখানার জন্যে কৌশলগত বিলগ্নিকরণের প্রক্রিয়া শুরু করেছে৷ স্রেফ আর্থিক দুরবস্থার জেরেই নাভিশ্বাস উঠেছে৷ এই দুরবস্থার জন্যে কিছুটা হলেও দায়বদ্ধ কারখানার শ্রমিক সংগঠনগুলিও৷ শ্রমিক সংগঠনগুলিকে ভাড়ায় দেওয়া কারখানার আবাসনের বকেয়া পরে আছে লক্ষ লক্ষ টাকা৷ শ্রমিক স্বার্থে কার্যালয় ভাড়া নিয়ে বকেয়া ফেলে রাখার শীর্ষে ইনটাক৷ দুর্গাপুর ইস্পাত নগরীর বাসিন্দার করা তথ্য জানার অধিকার আইনে মিশ্র ইস্পাত কারখানাই এই তথ্য পরিবেশন করেছে৷

মিশ্র ইস্পাত কারখানা কর্তৃপক্ষ ইনটাক, সিটু ও আইএনটিটিইউসিকে শ্রমিক সংগঠন সুষ্ঠুভাবে চালানোর উদ্দেশ্যে কারখানার আবাসন ভাড়ায় দেয়৷ গত ৩১ মার্চ পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ইনটাকের বকেয়ার পরিমাণ ১,৭৫,৬২ টাকা৷ বাম শ্রমিক সংগঠন এআইটিইউসির বকেয়া ১,১৯,৭২৯ হাজার টাকা৷ যদিও অস্তিত্বের সংকটের দরুন তাদের এখন আর কোন কার্যালয় নেই বলেই মিশ্র ইস্পাত কারখানা কর্তৃপক্ষ তথ্য জানার অধিকার আইনে জানিয়েছেন৷

Advertisement

আইটাকের ‘বড়দা’ যদিও বকেয়ার প্রশ্নে বেশ কিছুটা পিছিয়ে ‘ভাইয়ে’র তুলনায়৷ সিটুর কার্যালয়ের বকেয়া ১,০৭,০২১ টাকা৷ তুলনায় অনেক পিছিয়ে শাসকদলের শ্রমিক সংগঠন৷ যদিও এখানেও তাদের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বও স্পষ্ট৷ অন্যান্যদের তুলনায় অনেক পরে শুরু করেও তারাও ভাড়ার বকেয়া রাখার প্রতিযোগিতায় সামিল হয়েছেন অত্যন্ত দ্রুত লয়ে৷ আইএনটিটিইউসির বকেয়ার পরিমাণ ৭৪,১৮৪ টাকা৷ আবার আইএনটিটিইউসি অনুমোদিত এ্যালয় স্টিল এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের কার্যকরী সভাপতির নামেও কারখানা কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে সংগঠনের কার্যালয়ের জন্যে আবাসন নেওয়া হয়েছিল৷ সেই কার্যালয়েরও এখন বকেয়ার পরিমাণ ২৮,৯৭১ টাকা৷ যদিও সেই আবাসন বর্তমানে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে তথ্য জানার আইনে মিশ্র ইস্পাত কারখানার এজিএম (আইন বিষয়ক) ও জন তথ্য আধিকারিক আরভি শর্মা৷ কারখানার হাল যতই বেহাল হোক না কেন শ্রমিক সংগঠনগুলি বকেয়া দীর্ঘ করার প্রতিযোগিতায় নেমেছে৷ এখনও পর্যন্ত মোট বকেয়ার পরিমাণ ৪,৭৮,১৬৭ টাকা৷

এই বকেয়া শুধুমাত্র একত্রিত করে দায় সেরেছে মিশ্র ইস্পাত কারখানা কর্তৃপক্ষ৷ মিশ্র ইস্পাত কারখানা কর্তৃপক্ষ আরও জানিয়েছে, তাদের মোট আবাসনের সংখ্যা ৫০৬৫টি৷ এরমধ্যে ৬২২টি আবাসনে কারখানার শ্রমিক কর্মীরা রয়েছেন৷ প্রাক্তন শ্রমিক কর্মীরা রয়েছেন ১২১৪টি আবাসনে৷ ২০ঙ্মপ্ত সাল থেকে এখনও পর্যন্ত ১২১৪টি আবাসন লিজ বা লাইসেন্স ভিত্তিতে শ্রমিক কর্মীদের মধ্যে বণ্টন করা হয়েছে৷ কারখানার ফাঁকা বা বাতিল আবাসনের সংখ্যা ৮০২টি৷ এই আবাসনগুলিতে ভাড়া গুনছেন শ্রমিক-কর্মীরা কিন্তু, শ্রমিক স্বার্থে যাঁরা লড়াই করছে তাঁদেরই ভাড়া বকেয়া রাখার প্রতিযোগিতায় নেমেছে শ্রমিক সংগঠনগুলি বলে অভিযোগ করেছেন শ্রমিকরা৷ যদিও বকেয়া ফেলে রাখার যুক্তি হিসাবে আইএনটিটিইউসির সাধারণ সম্পাদক অশোক কুণ্ডু জানান,“ আমাদের বিল সঠিক সময়ে দেয়নি কর্তৃপক্ষ৷ তাই ভাড়া বকেয়া পড়ে আছে৷ বিল সঠিক সময়ে না দেওয়ার ব্যর্থতা কর্তৃপক্ষের৷”

সিটুর পক্ষ থেকে সহ-সভাপতি বিজয় কুমার সাহা জানান,“আমাদের সঙ্গে কারখানার চুক্তি হয়েছিল৷ এক টাকা করে ভাড়া৷ কিন্তু, পরে একতরফাভাবে ভাড়া বাড়িয়ে দেয় তারা৷ এই বিষয়ে আলোচনাও করছে না কর্তৃপক্ষ৷ বেহাত হয়ে যাচ্ছে একের পর এক আবাসন৷ সেই দিকে নজর নেই কর্তৃপক্ষের৷” যদিও ইনটাক এই বিষয়ে কোন মন্তব্য করতে চায়নি৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement