ছবি: উদয়ন গুহ রায়৷
সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, দুর্গাপুর: রাতের সামান্য বৃষ্টিতেই ডুবল আদালত৷ জলে ঢুকল স্পেশাল এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টের এজলাস-সহ আদালতের লক আপেও৷ এর ফলে বহু গুরুত্বপূর্ণ নথি নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে৷ পাম্প করে জল বের করেন আদালতের কর্মীরাই৷
দীর্ঘদিন ধরে চলা এই সমস্যা নিয়ে দুর্গাপুর নগর নিগম ও আসানসোল দুর্গাপুর উন্নয়ন সংস্থার চাপানউতোর চলছিল৷ এডিডি-এর এই ভবনেই দীর্ঘদিন ধরে চলে মহকুমা আদালত, মহকুমাশাসকের কার্যালয়, মহকুমা পরিবহন বিভাগ, খাদ্য সরবারহ বিভাগ-সহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ দপ্তর৷ ছয়ের দশকে এই ভবন নির্মাণ করা হলেও নিকাশি ব্যবস্থা বর্তমানে বেহাল৷ প্রতি বছরই সামান্য বৃষ্টিতেই এই ভবনের বেসমেন্ট চলে যায় জলের তলায়৷ এই বেসমেন্টেই কোর্ট লক আপ, ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট, ট্রেজারি, মালখানা ও ডাকঘর৷
বৃহস্পতিবার রাতের বৃষ্টিতে এই বেসমেন্ট চলে যায় জলের তলায়৷ এদিকে বেসমেন্টেই রয়েছে পাঁচতল এই ভবনের মূল নিকাশি ব্যবস্থা৷ বর্ষার পরও ভবনের জলই এই নালায় এসে পড়ে৷ এছাড়াও মাটির নিচে থাকায় বর্ষার জল ছুঁইয়েও ঢোকে বেসমেন্টে৷ কিন্তু, এই নিকাশি ব্যবস্থাই বেহাল৷ বন্ধ হয়ে পড়ে রয়েছে দীর্ঘদিন৷ যাবতীয় বর্জ্য এই নালাকে বন্ধ করেছে দীর্ঘদিন৷ তার ফলেই বর্ষার জল উপচে ঢুকে যায় ভবনের বেসমেন্টে থাকা কক্ষগুলিতে৷ শুক্রবার থেকেই বেসেমেন্টে হাঁটু সমান জল৷ সেই জল সরাতে গিয়ে নাজেহাল হতে হয় আদালত কর্মীদের৷ নালা বন্ধ থাকায় কোনওভাবেই সেই নালা দিয়ে জল বের হয় না৷ পরে দুর্গাপুর নগর নিগমের সাহায্য নিয়ে দুপুরের পর পাম্প নিয়ে এসে আদালতের কর্মীরাই সেই জমা জল বের করেন৷
দুর্গাপুরের মেয়র দিলীপ অগস্তি বলেন, “এডিডিএর ভবন৷ ছয়ের দশকের এই ভবনে সেই সময়কার পরিকল্পনা-মাফিক নিকাশি ব্যবস্থা৷ স্বাভাবিকভাবেই তা এখন বেহাল হয়েই পড়বে৷ এই অবস্থা থেকে মুক্তি একমাত্র এডিডিএ দিতে পারবে৷” কিন্তু, নিকাশিই যেখানে বেহাল, সেখানে জল বের হবে কীভাবে? কাউকে দোষারোপ না করে এডিডিএর চেয়ারম্যান তাপস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘দীর্ঘদিনের ভবন ও নিকাশি ব্যাবস্থা৷ নগরোন্নয়নের সঙ্গে পাল্লা দিতে সমস্যা হচ্ছে এই নিকাশি ব্যাবস্থার৷ জল ধারণ ক্ষমতা কমে গিয়েছে৷ এই নিকাশি নালা সংস্কার কার্যত অসম্ভব৷ তাই নতুন আদালত ভবন নির্মাণ হচ্ছে৷”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.