সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, দুর্গাপুর: বালির বস্তা দিয়ে প্রথমে জল আটকানোর চেষ্টা হয়েছিল। কিন্তু লাভ হয়নি। তাই গভীর রাতে দুর্গাপুর ব্যারেজের জলাধার শূন্য করার সিদ্ধান্ত নেয় সেচদপ্তর। এখন যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চলছে লকগেট মেরামতির কাজ। সেচ দপ্তরের আধিকারিক আশা, শনিবার বিকেলের মধ্যে একনম্বর লেকগেটটির মেরামতির কাজ শেষ করা ফেলা সম্ভব হবে। তবে পরিস্থিতি পুরোপুরি স্বাভাবিক হতে রবিবার দুপুর গড়িয়ে যেতে পারে। এদিকে লেকগেট মেরামতির কারণে দুর্গাপুর শহর-সহ গোটা শিল্পাঞ্চলে জলের সংকটে চরমে পৌঁছেছে।
[দুর্গাপুর ব্যারাজের লক গেট ভেঙে বিপত্তি, জল বেরোনোয় বাড়ছে সমস্যা]
মূলত দামোদরের জল ধরে রাখার জন্য তৈরি করা করা হয়েছিল এই দুর্গাপুর ব্যারাজ। এই ব্যারাজ থেকে জল সরবরাহ করা হয় দুর্গাপুর-সহ গোটা শিল্পাঞ্চলে। কিন্তু, শুক্রবার ভোরে ব্যারাজের এক নম্বর লকগেটটি ভেঙে যাওয়ায় বিপত্তি বেড়েছে। ঘটনাচক্রে, ব্যারাজের ৩৮টি লকগেটের মধ্যে একনম্বর লকগেটটিরও কার্যকারিতা সবচেয়ে বেশি। ভেঙে যাওয়া লকগেট দিয়ে হুহু করে জল বেরোতে শুরু করে। মাত্র কয়েক ঘন্টায় জলস্তর নেমে যায় প্রায় আড়াই ফুট। যুদ্ধকালীন তৎপরতা মেরামতিতে নামেন সেচ দপ্তরের কর্মীরা। প্রথমে বালির বস্তা দিয়ে ব্যারাজে জলাধারে জল ধরে রাখার চেষ্টা হয়। কিন্তু, বালির বাঁধ দিয়ে দামোদরের প্রবল স্রোত আটকানো যায়নি। পরিস্থিতি মোকাবিলায় শুক্রবার গভীর রাতে বৈঠকে বসেন সেচ দপ্তরের পদস্থ আধিকারিকরা। সিদ্ধান্ত হয়, জলাধারটি পুরোপুরি শূন্য করা ফেলা হবে। সেইমতো পাঞ্চেত ও মাইখন থেকে জল সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়। সমস্ত লকগেট খুলে জলাধারের জল বের করে দেওয়া পর, শুরু হয় লকগেট মেরামতির কাজ।
[রাজ্যে শীঘ্রই ফিরছে পাশ-ফেল প্রথা, বিধানসভায় ইঙ্গিত শিক্ষামন্ত্রীর]
দুর্গাপুর ব্যারাজের জলাধারটি এখন ধু ধু প্রান্তর। তীব্র জল সংকট দেখা গিয়েছে দুর্গাপুর শহর-সহ গোটা শিল্পাঞ্চলে। সেচ দপ্তরের কর্তাদের আশা, শনিবার বিকেলের মধ্যে মেরামতি কাজ শেষ করা সম্ভব হবে। এরপরই মাইথন ও পাঞ্চেত থেকে জল এনে ফের দুর্গাপুর ব্যারাজ থেকে জল সরবারহ শুরু হবে। পুরো প্রক্রিয়াটি শেষ হতে রবিবার দুপুর গড়িয়ে যাবে।
[বাবাকে তাড়িয়ে বাড়িতে তালা ছেলের, চাবি চাইল আদালত]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.