সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, দুর্গাপুর: সেনার চাকরির পরীক্ষায় ‘হাইটেক’ নকল করতে গিয়ে দুর্গাপুর ইস্পাতনগরীতে গ্রেপ্তার পাঁচ পরীক্ষার্থী৷ উদ্ধার হল বহু ইলেকট্রনিক ডিভাইস-সহ মোবাইল ফোন৷ ধৃতদের পাকড়াও করে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে৷ তাদের জেরা করছে পুলিশ৷
[অসমে ‘উদ্বাস্তু’ ৪০ লক্ষ মানুষ, বিপন্নদের পাশে বাঙালি সংগঠনগুলি]
সোমবার, সিআইএসএফ বা সেন্ট্রাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল সিকিউরিটি ফোর্সের গ্রুপ-ডি পদের পঁয়তাল্লিশটি পদের জন্যে লিখিত পরীক্ষা ছিল দুর্গাপুরে৷ ইস্পাতনগরীর বি-জোনে দুর্গাপুর ইস্পাত বিদ্যালয়ে হয় পরীক্ষা৷ সেখানেই রাঁধুনি পদের জন্যে পরীক্ষা দিতে আসে নদিয়ার বাসিন্দা বাসিন্দা মিঠুন বিশ্বাস, সুমন জোয়ারদার, মুর্শিদাবাদের রামলাল ঘোষ, নদীয়ার নাকাশিপাড়ার মেঘনাদ বিশ্বাস, দক্ষিণ দিনাজপুরের বাসুদেবপুরের গঙ্গা বর্মন৷ জানা গিয়েছে, পরীক্ষাকেন্দ্র থেকে বাইরে আসার সময় এদের কানে হেড ফোন গোঁজা দেখে সন্দেহ হয় সেখানে উপস্থিত পরীক্ষকদের৷ তাদের আটক করে সিআইএসএফ৷ তাদের, প্রাথমিক তল্লাশি নিতেই প্রকাশ্যে আসে নকল করার ‘হাইটেক’ পদ্ধতি৷
[সহকর্মীর স্ত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা, পুলিশের জালে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালের গ্রুপ ডি কর্মী]
পুলিশ সূত্রে খবর, পরীক্ষা কেন্দ্রে বসেই কান হেড ফোন গুঁজে ওয়াইফাইয়ের মাধ্যমে নদিয়ায় এক ব্যক্তির সঙ্গে সম্পর্ক রাখে ধৃতরা৷ আগেই সেই ব্যক্তিকে হোয়াটস অ্যাপ করে প্রশ্নপত্র পাঠিয়ে দেয় এরা৷ পরনের গেঞ্জির সেলাইয়ের মধ্যে দিয়ে সরু হেড ফোনের তার এনে তা কানের সঙ্গে সংযুক্ত করে৷ এদের প্রত্যেকের পকেটে ছিল ‘জেনারেল পকেট রেডিও সার্ভিস’ বা জিপিআরএস ডিভাইস৷ এই ডিভাইসের মাধ্যমেই যোগাযোগ রক্ষা করে উত্তরদাতার সঙ্গে৷ ধৃত পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে তিনটি মোবাইল ফোন, দুটি সিম কার্ড, হেড ফোন, দুটি জিপিআরএস ডিভাইস এবং পরনের দুটি টি-শার্টও বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ৷ আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশের ডিসি অভিষেক মোদি জানিয়েছেন, দুটি পৃথক গ্রুপ এই জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত রয়েছে৷ সোমবারই এদের তোলা হয় দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে৷ ধৃতেদের পাঁচ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.