Advertisement
Advertisement

Breaking News

সিপিএম বনাম সিটুর দ্বন্দ্বে ‘সুপার ফ্লপ’ জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি রোখার আন্দোলন

নিজেদের দ্বন্দ্বেই বিক্ষত বাম নেতৃত্ব৷

Durgapur: Anti price rise protest flops due to CPM, CITU infighting
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:May 31, 2018 5:26 pm
  • Updated:May 31, 2018 5:26 pm  

সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, দুর্গাপুর: সুনির্দিষ্ট কর্মসূচি৷ সিপিএমের বাধায় সেই কর্মসূচির স্থান পরিবর্তন করতে বাধ্য হল সিটু৷ তাও মাত্র ঘণ্টাখানেক আগে৷ এই নিয়ে সিপিএমর সঙ্গে সিটুর তীব্র কলহ এল প্রকাশ্যে৷ বৃহস্পতিবার দুপুর একটা থেকে সিটুর উদ্যোগে জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির বিরুদ্ধে দুর্গাপুরে দু’নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধের কর্মসূচি ছিল৷ পুলিশের কাছে এই মর্মে অনুমোদনও নেওয়া হয় বলে খবর৷ কিন্তু, সিপিএমের তীব্র আপত্তিতে স্থান পরিবর্তন করতে বাধ্য হয় বলে সিটুর একাংশের অভিযোগ৷

এদিন দুপুর বারোটা নাগাদ সিটুকে এই স্থান পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত জানায় সিপিএম নেতৃত্ব বলে সিটুর দাবি৷ সুনির্দিষ্ট কর্মসূচি আচমকা বাতিল হওয়ায় বেজায় চটে যায় সিটু৷ রীতিমতো বাকবিতণ্ডাও শুরু হয়ে যায় সিটু ও সিপিএম নেতৃত্বের মধ্যে৷  সিটুর অভিযোগ, পুলিশ ও শাসক দলের কাছে অনুমতি না পাওয়ার জন্যেই আপোসের ফর্মুলাকে দলীয় কর্মসূচির উপর প্রয়োগ করে তা বানচালের চেষ্টায় ছিল সিপিএম৷ বিবাদ যে লেগেছে তা সিপিএমের জেলা সম্পাদকের কথাতেও স্পষ্ট৷

Advertisement

 চলতি বছরের মাধ্যমিকের ফলপ্রকাশ ৬ জুন, জানাল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ ]

এদিন কর্মসূচি সফল করতে হাজির হয়েছিলেন কর্মীরাও৷ কিন্তু, তারাও এই এক ঘণ্টার নোটিশে স্থান পরিবর্তন নিয়ে প্রবল ক্ষোভ ব্যক্ত করেন৷ সিপিএমের পশ্চিম বর্ধমান জেলার সম্পাদক গৌরাঙ্গ চট্টোপাধ্যায় বলেন,“সিটু তাঁদের এই কর্মসূচি মাত্র দুই দিন আগে আমাদের কাছে জানিয়েছে৷ তাই সমন্বয়ের ভিত্তিতে বা সংগঠিতভাবে এই কর্মসূচি রুপায়ণ সম্ভব হয়নি৷ সিটু নিজের মতো করেই এই প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেছে৷ বিভিন্ন জায়গায় তা সফলভাবে পালনও হয়েছে৷ দুই জায়গায় জাতীয় সড়ক আটকে প্রতিবাদ হয়েছে৷ দুর্গাপুরে সঠিক কী হয়েছে তা আমার জানা নেই৷” ‘সময়ে’র অভাবেই সিটুর এই কর্মসূচির সফল রুপায়ণ করতে পারেনি সিপিএম, বলে দাবি করছে সম্পাদক৷ আর তার ফলেই সিটুর এই কর্মসূচিকে ফ্লপ করে তাদের ‘শিক্ষা’ দিতে চেয়েছে সিপিএম বলে দলের একাংশের অভিযোগ৷

সিটুর পশ্চিম বর্ধমান জেলার সভাপতি বিনয় চক্রবর্তী বলেন, ‘‘মানুষের সুবিধার কথা ভেবেই জাতীয় সড়ক অবরোধ থেকে পিছিয়ে এলাম আমরা৷” জাতীয় সড়কের বদলে সিটি সেন্টারের শহীদ ক্ষুদিরাম সরণীতে কোনভাবে এই প্রতিবাদ কর্মসূচি সারে সিটু৷ কিন্তু দশ মিনিটের এই অবরোধ কর্মসূচিতেও তো সাধারণ মানুষের সমস্যা হল, তাহলে জাতীয় সড়ক অবরোধে দোষ কি ছিল? এই উত্তর খুঁজছে দলের নিচু তলার কর্মীরা৷ এই দুঃসময়ে সিটু ও সিপিএমের দ্বন্দ্বে দলকে আরও দুর্বল করবে বলেই তাদের অভিযোগ৷

কেন্দ্রীয় বাহিনী নয় মানুষের সমর্থনই বড় কথা, মহেশতলা জয়ে মন্তব্য পার্থর ]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement