দিব্যেন্দু মজুমদার, হুগলি: রঙের উৎসবের সঙ্গে মিলে গেল দুর্গোৎসবের (Durga Puja) আনন্দ। দোলের দিনই মহিষাসুরমর্দিনীর পুজো শুরু হয় হুগলির (Hooghly) শ্রীরামপুরের দে পরিবারে। চলে চারদিন ধরে। এটাই সেখানকার রীতি। এবছরও তার ব্যতিক্রম হল না। প্রথা মেনে শ্রীরামপুরের টাউন ক্লাবে সূচনা হয়ে গেল দুর্গাপুজোর। আবির, রংয়ের পাশাপাশি মায়ের আরধনায় মেতে উঠলেন এলাকাবাসী।
আজ থেকে ২১৭ বছর আগেকার ঘটনা। দোল উৎসবের দিন শ্রীরামপুরের (Sreerampur) দে বাড়িতে মহিষাসুরমর্দিনী পুজোর প্রচলন হয়েছিল। পরবর্তীকালে এই পারিবারিক পুজো বারোয়ারি পুজোর আকার নেয়। বর্তমানে শ্রীরামপুরের টাউন ক্লাব এই দে পরিবারের ঐতিহ্য বজায় রেখে এই পুজো করে আসছে। দোল উৎসবের দিন এখানে মহিষাসুরমর্দিনীর আরাধনা সূচনা হয়। চারদিন ধরে চলে পুজো। দে পরিবারের মহিষাসুরমর্দিনীর পুজোর বিশেষত্ব হল, মা দুর্গার সঙ্গে লক্ষ্মী-সরস্বতী থাকেন না। পরিবর্তে জয়া ও বিজয়াকে পুজো করা হয়। বসন্তে এই পুজো হলেও শরৎকালেও নিয়ম মেনে মা দুর্গার পুজো করা হয়।
২১৭ বছর আগে দে পরিবারের নগেন্দ্রনাথ দে ও পুলিন বিহারী দে এই মহিষাসুরমর্দিনী পূজার প্রচলন করেন। পরবর্তীকালে তা সর্বজনীন পুজোর রূপ নেয়। শ্রীরামপুর টাউন ক্লাবের সদস্য তন্ময় ভট্টাচার্য জানান, এই চারদিন পাড়ার কোনও বাড়িতে রান্না হয় না। সকলে এখানেই ভোগ গ্রহণ করেন। পাড়ার মহিলাদের বক্তব্য, তাঁরা একই সঙ্গে মহিষাসুরমর্দিনীর পুজো করার পাশাপাশি রঙের উৎসবে মেতে ওঠেন। শুক্রবার, সপ্তমীর সকালে পাড়ার ছেলেমেয়েরা প্রভাত ফেরির মাধ্যমে ‘যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই’ এই বার্তা দেন। পাশাপাশি রাশিয়া-ইউক্রেন (Russia-Ukraine War) যুদ্ধ বন্ধের আবেদন জানিয়ে মণ্ডপ থেকে শান্তির দূত পায়রা ওড়ানো হয়। এলাকাবাসীর আশা ও বিশ্বাস, মহিষাসুরমর্দিনী অশুভ শক্তির বিনাশ করে এই পৃথিবীতে ফের শান্তি প্রতিষ্ঠা করবেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.