অর্ণব দাস, বারাকপুর: কল্যাণী লুমিনাস ক্লাব, টালা প্রত্যয়ের পর রাজ্যপালের দেওয়া দুর্গারত্ন সম্মান প্রত্যাখ্যান বরানগরের নেতাজি কলোনি লো ল্যান্ড এবং বন্ধুদল স্পোর্টিং ক্লাবের। রাজ্যের প্রতি কেন্দ্রের বঞ্চনার অভিযোগে পুরস্কার ফেরাল এই দুই পুজো কমিটি। স্থানীয় বিধায়ক তাপস রায় এই সিদ্ধান্তের কথা জানান।
বৃহস্পতিবার সাংবাদিক সম্মেলন করে এই দুটি ক্লাবের তরফে পুরস্কার প্রত্যাখ্যান করার কথা জানান স্থানীয় বিধায়ক তাপস রায়। উপস্থিত ছিলেন বরানগর বন্ধুদল স্পোর্টিং ক্লাবের সম্পাদক তথা দুর্গোৎসবের প্রধান পরিচালক বাসবচন্দ্র ঘোষ এবং নেতাজি কলোনি লো ল্যান্ডের দুর্গাপুজোর মুখ্য সংগঠক দিলীপ নারায়ণ বসু। এদিন তাপস রায় বলেন, “আমরা কৃতজ্ঞতা জানাই রাজ্যপালকে, তাঁর পছন্দের তালিকায় আমার বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত দুটি পুজো বেছে নেওয়ার জন্য। দুটি ক্লাবের কর্মসমিতি আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিয়েছি রাজ্যপালের ঘোষিত পুরস্কার গ্রহণ করতে আমরা অক্ষম। বাংলার মানুষের ভালো-মন্দ, বাংলার উন্নয়নের সঙ্গে আমাদের এই পুজো কমিটির নাড়ির টান রয়েছে। কেন্দ্রের বঞ্চনার কারণে রাজ্যের ২১-২২ লক্ষ মানুষ কাজ করে টাকা পাচ্ছেন না। তার প্রতিবাদে আমরা আন্দোলন করার পাশাপাশি রাজ্যপালের কাছেও অনুরোধ জানিয়েছিলাম। কিন্তু বাংলা এখনও বঞ্চনার শিকার। তাই আমরা দুর্গারত্ন পুরস্কার প্রত্যাখ্যান করছি।”
উল্লেখ্য, রাজ্য সরকারের পাশাপাশি সেরা পুজোকে ‘দুর্গারত্ন’ পুরস্কার দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন রাজ্যপাল। মঙ্গলবার রাতে সেই পুরস্কার বিজয়ীদের নাম রাজভবনের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয়। রাজভবনের তরফে পুরস্কৃত করা হয় চারটি পুজোকে। রাজভবনের তরফে জানানো হয়েছে, আলো ও ছায়ার সৃজনমূলক ব্যবহারের কারণে পুরস্কৃত কলকাতার টালা প্রত্যয়ের মণ্ডপ।
জাঁকজমক ও বিশালত্বের নিরিখে পুরস্কৃত করা হয় কল্যাণীর লুমিনাস ক্লাবের পুজো মণ্ডপকে। পরিবেশ সচেতনতার জন্য পুরস্কৃত করা হয় বরানগরের বন্ধুদল স্পোর্টিং ক্লাবের মণ্ডপ। থিমের নতুনত্বে পুরস্কার জিতে নেয় নেতাজি নগর (লো ল্যান্ড)-এর পুজো মণ্ডপ। চারটি পুজোকে সাধারণ মানুষের ভোটের ভিত্তিতে বেছে নেওয়া হল বলে জানায় রাজভবন। তবে পুরস্কার প্রত্যাখ্যান করল সকলেই।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.