সুরজিৎ দেব, ডায়মন্ড হারবার: কালো রূপে দিগম্বরী। আর এই কালোর মধ্যে লুকিয়ে আছে অপার রহস্য। গায়ের রংয়ের জন্য ব্যতিক্রমী ক্যানিংয়ের কালো দুর্গা। ক্যানিংয়ের ভট্টাচার্য বাড়ির পুজোর জৌলুস আজও একইরকম।
ক্যানিংয়ে দিঘিরপার এলাকার ভট্টাচার্য বাড়ির পূর্বপুরুষরা থাকতেন ঢাকার পাইনপাড়া গ্রামে। সেখানেই শুরু হয় পুজো। যখন পুজোর বয়স দুশো বছর তখনই প্রদীপ থেকে দাউদাউ করে জ্বলে ওঠে শোন ও হোগলা দিয়ে তৈরি অস্থায়ী মণ্ডপ। পুড়ে ছারখার হয়ে যায় সবকিছু। আগুনের লেলিহান শিখায় প্রতিমা পুড়ে কালো হয়ে যায়। আগুনে পোড়ার পর উলটে পালটে যায় দেবদেবীদের স্থান। গণেশের জায়গায় চলে আসে কার্তিক। লক্ষ্মীর জায়গায় সরস্বতী। নবপত্রিকা গণেশের পাশ থেকে সরে গিয়ে স্থান পাশ কার্তিকের পাশে। এরপর ধ্যানে বসেন পূর্বপুরুষরা। ধ্যানমগ্ন গৃহস্থকে পুজো করার আদেশ দেন দেবী। তারপর থেকে কালো দুর্গার পুজো শুরু হয়।
আজও সেই একই নিয়মে পুজো হয়ে আসছে। দেবীর কাঠামো থেকে শুরু করে পুরোহিত সবকিছুই বংশপরম্পরায়। পরিবারের সদস্য রাজীব ভট্টাচার্য বলেন, “আগে মহিষ বলি হত। এখন পশুহত্যা একদমই হয় না। শুধুমাত্র নবমীতে চালকুমড়ো বলি দেওয়া হয়। সাধারণ নিয়ম মতোই প্রতিবছর মহালয়ার দিন দেবীর চক্ষুদান হয়।” ক্যানিংয়ের কালো দুর্গা পরম্পরার ঐতিহ্য বহন করে আসছে ক্যানিং তথা এই জেলাজুড়ে। এ বিষয়ে বাড়ির অন্যতম সদস্য পীযূষকান্তি ভট্টাচার্য বলেন, “জেলায় সম্ভবত আমাদের এই পুজো প্রাচীন। দেবীর গায়ের রং কালো আর কোথাও দেখা যায় না।”
দেখুন ভিডিও:
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.