Advertisement
Advertisement
Durga Puja 2021

Durga Puja 2021: বরাত নেই প্রতিমার, বাবার কারখানা শূন্য রেখে দুর্গা গড়তে ভিনরাজ্যে মৃৎশিল্পীর মেয়ে

মৃৎশিল্পীর মৃত্যুর পর থেকে তাঁর কারখানা খাঁ খাঁ করছে।

Durga Puja 2021: Daughter of idol maker at Raigunj has to find work outside Bengal despite having factory inhouse | Sangbad Pratidin
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:September 23, 2021 7:45 pm
  • Updated:September 23, 2021 7:45 pm  

শংকরকুমার রায়, রায়গঞ্জ: শিল্পীর শূন্যতায় খাঁ খাঁ করছে রায়গঞ্জের (Raigunj) কুমোরপাড়া। বাড়িতেই দুর্গামূর্তির কারখানা, তাও শুনশান। টিনের চালার কারখানার আনাচকানাচ ধুলোঝুলে ঢাকা পড়েছে। শিল্পীর সৃষ্টি মৃৎশিল্পের সম্ভার এখন অবহেলায় পড়ে আছে। কিন্তু বাবার মৃত্যুর পর বাবার কাজকেই এগিয়ে নিয়ে যেতে চেয়েছিলেন মন্দিরা পাল। অথচ ভাগ্যের কী নিঠুর পরিহাস! এ বছর রায়গঞ্জে একটিও দুর্গা (Durga) প্রতিমার বরাত জোটেনি তাঁর।

Durga Puja 2021
মূর্তি গড়ছেন মন্দিরা পাল।

বাড়িতে বয়স্কা বিধবা মা। আকস্মিক বাবাকে হারিয়ে করোনার (Coronavrus) গ্রাস যেন লণ্ডভণ্ড করে দিয়েছে রোজকার রোজগার। আর তাই শেষপর্যন্ত জীবিকার তাগিদে বাধ্য হয়ে নিজেদের বাড়ি ছেড়ে অনেক দুরের অচেনা এলাকায় দুর্গা প্রতিমা তৈরি করতে জীবনে প্রথমবার শামিল প্রয়াত মৃৎশিল্পীর কন্যা মন্দিরা পাল। রায়গঞ্জের কাঞ্চনপল্লির বাড়ি ছেড়ে অন্তত ১২০ কিলোমিটার দূরত্বে বিহারঘেঁষা ইসলামপুরের প্রত্যন্ত রামগঞ্জে গিয়েছেন মন্দিরা। সেখানেই দুর্গা প্রতিমা গড়ার কাজে ব্যস্ত রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা বিভাগের স্নাতক মন্দিরা পাল।

Advertisement

[আরও পড়ুন: কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ মইনুল হকের, জঙ্গিপুরে অভিষেকের উপস্থিতিতে দলবদল]

রায়গঞ্জের মৃৎশিল্পী নেপাল পাল। বছর খানেক আগে তাঁর করোনা প্রাণ কেড়ে নেয়। তারপর থেকে বাড়ির সামনের মূর্তি তৈরির কারখানায় কার্যত তালা পড়েছে। পুরোপুরি থমকে কাজ। তিন মেয়ের মধ্যে কনিষ্ঠ কন্যা মন্দিরার কথায়, “রায়গঞ্জে বাবার গড়া কারখানায় এবার একটিও প্রতিমার কাজ মেলেনি। ছোটবেলায় কারখানায় বাবার কাজ দেখতাম। অল্প অল্প প্রতিমা গড়ার কাজ শিখেছি। কিন্তু ভাবিনি, এত তাড়াতাড়ি আমাকে প্রতিমা তৈরির কাজ করতে হবে। দুটি কাজ শেষপর্যন্ত মিলেছে ইসলামপুরে। নিরুপায় হয়ে রামগঞ্জের পুলিশ ফাঁড়ি সংলগ্ন নিরাপদ পাড়ার যোগেন দাসের বাড়ির পুজোর দুর্গা প্রতিমা বানানোর কাজে হাত দিলাম। আর অন্য কাজটি পেয়েছি বিহারের ছাপড়ার গিয়ে একটি পুজো কমিটি থেকে, সেখানে দুর্গাপ্রতিমা গড়ছি।”

[আরও পড়ুন: জমা জলে কাজ করতে গিয়ে বেলঘরিয়ায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত শ্রমিক, বিক্ষোভ কারখানা চত্বরে]

অকালে স্বামীকে হারিয়ে সন্তানদের নিয়ে যেন অথৈজলে বিধবা স্ত্রী যমুনাদেবী। বুধবার কাঞ্চনপল্লির স্বামীর কারখানায় দাঁড়িয়ে যমুনাদেবী বলেন,”স্বামী চলে যাওয়ার পর গোটা একটা বছর একটিও মূর্তির কাজ পায়নি। নিজেও কাজ জানি। কিন্তু দুর্গা প্রতিমার কোনও বায়না আসেনি। ঘরে টাকা নেই প্রতিমা তৈরির। মেয়ে দু’টো কাজ করছে ইসলামপুর আর বিহারে। জানি না কতদিন চলবে এভাবে। তবে মেয়ের ভরসায় বাঁচতে হবে।”

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement