নবেন্দু ঘোষ ও সুচেতা সেনগুপ্ত, টাকি: বিএসএফ ও বিজিবি-র কড়া নজরদারির মধ্যেই টাকির ইছামতী নদীতে দুর্গা প্রতিমা বিসর্জন দিলেন দুই বাংলার মানুষ। তবে প্রতিমা নিয়ে যতগুলি নৌকা ছিল তার থেকে অনেক বেশি ছিল পর্যটক বোঝাই নৌকা। প্রশাসনের তরফে কড়া নির্দেশ ছিল ৫.৩০টার মধ্যে প্রতিমা বিসর্জনের পালা সাঙ্গ করতে হবে বলে। ভাসানের জন্য রাজবাড়ি ঘাট, বিডেপি ঘাট ও হাসনবাদ ঘাট নির্দিষ্ট করে দিয়েছিল প্রশাসন। নিরাপত্তা ব্যবস্থা দেখভালের জন্য রাজ্যস্তরের পুলিশ আধিকারিকরাও উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন নৌকা ও ভাসানের জন্য নির্দিষ্ট ঘাটে।
আগে প্রতিমা বিসর্জনের সুযোগে বাংলাদেশ থেকে প্রচুর মানুষ ভারতে অনুপ্রবেশ করত। কিন্ত, ২০১১ সালে দু’দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নেয় ইছামতী নদীতে প্রতিমা বিসর্জন করা হলেও কেউ জলসীমান্ত লঙ্ঘন করবে না। তাই ইচ্ছা থাকলেও বিজয়াদশমীর কোলাকুলি আর সারা হল না দুই বাংলার মানুষের মধ্যে। ফলে মা চলে যাওয়ার দুঃখের সঙ্গেই যোগ হল বিষাদের করুণ সুর।দু’দেশের নিরাপত্তা রক্ষীদের কড়া নজরদারির মধ্যে কোনও মতে প্রতিমা বিসর্জন দিয়ে নিজের নিজের দেশে ফিরে গেলেন সবাই। প্রতিবেশী দুটি দেশের মানুষের এই মিলনমেলা দেখতে আজ বসিরহাটের টাকিতে হাজির ছিলেন স্থানীয় সাংসদ নুসরত জাহান-সহ প্রশাসনের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা।
স্থানীয় এক বাসিন্দা গণেশ দাস বলেন, ‘আগে আমরা এই দিনটিতে প্রতিমা বিসর্জনের পাশাপাশি ওপার বাংলার মানুষের সঙ্গে হাত মেলাতাম, কোলাকুলি করতাম। বাংলাদেশ থেকে প্রচুর মানুষ আমাদের এখানে মেলায় আসতেন। আমরা ওপারে গিয়ে ওখানকার মেলায় অংশ নিতাম। কিন্তু, গত ছ-সাত বছর ধরে প্রশাসনিক বাধ্যবাধকতার কারণে ওপারের মানুষের সঙ্গে আর কোলাকুলি করতে পারি না আমরা। হাত মেলানোরও সুযোগ থাকে না। দেশের নিরাপত্তার স্বার্থে বিষয়টি মেনে নিলেও আমাদের মনে হয় কিছু একটা বাকি থেকে যাচ্ছে। মন খারাপ হয়ে যায়।’
দেখুন ভিডিও:
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.