Advertisement
Advertisement

শরিকি বিবাদে ভেঙে গেল বাম-কংগ্রেস জোট

আলোচনার পর সাংবাদিক সম্মেলনে বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসুও জানিয়ে দেন যে, ব্যাপক আকারে আন্দোলন, সংগ্রাম কর্মসূচি গ্রহণ করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে৷ তবে এই সব কর্মসূচিতে কংগ্রেস থাকছে না৷

Due To Inner Conflicts, Congress-CPM Alliance Will Be No More
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:June 11, 2016 11:33 am
  • Updated:June 11, 2016 11:33 am  

স্টাফ রিপোর্টার: কংগ্রেসকে ঝেড়ে ফেলার সিদ্ধান্তেই সবুজ সংকেত রাজ্য বামফ্রন্টের৷ শরিকদের অনমনীয় মনোভাবের সামনে নতিস্বীকারে একপ্রকার বাধ্যই হল সিপিএম৷ যাবতীয় আন্দোলন কর্মসূচি থেকে কংগ্রেসকে ছেঁটে ফেলে এখন থেকে একলাই চলবে বামেরা৷ তবে এখনও পর্যন্ত পরিষদীয় স্তরে অটুট রয়েছে বাম-কংগ্রেস ঐক্য৷ কিন্তু শুক্রবারের সিদ্ধান্তের পর এই ঐক্য কতদিন বজায় থাকে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গেল৷ তাহলে কি কংগ্রেস আর বামফ্রন্টের (বকলমে সিপিএমের) যে মধুচন্দ্রিমা চলছিল তাতে শেষপর্যন্ত ইতি টানা হল? বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসুর জবাব, ”আগামী দিনগুলিতে যে আন্দোলন সংগঠিত হবে তাতে কংগ্রেস থাকবে না৷ বামফ্রন্টের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়েছে৷ সেই সিদ্ধান্তের কথাই আমি জানালাম৷” পাশাপাশি নির্বাচনের আগে বৃহত্তর বাম ঐক্যে যে ফাটল ধরেছিল তা পুনরায় মেরামত করা হবে বলে সাংবাদিকদের জানান তিনি৷ প্রসঙ্গত বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের সঙ্গে বামফ্রন্টের জোট হওয়ায় বৃহত্তর বাম ঐক্য ছেড়ে বেরিয়ে আসে সিপিআই (এমএল) লিবারেশন ও এসইউসিআই সহ আরও কয়েকটি দল৷ তাদের ফিরিয়ে আনতে সচেষ্ট হবে ফ্রন্ট বলে এদিন দাবি করেছেন বিমান৷ তবে কংগ্রেসকে নিয়ে দলগত সিদ্ধান্ত এখনও স্পষ্ট না করায় রাজনৈতিক দ্বিচারিতার অভিযোগ উঠছে সিপিএমের বিরু‌দ্ধে৷
বিধানসভা নির্বাচনে শোচনীয় ফলাফলের পর দফায় দফায় দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় বসে কংগ্রেস প্রসঙ্গে শরিকদের তীব্র অনীহা টের পেয়েছিল সিপিএম৷ গত বুধবার সিপিআই ও আরএসপি বড় শরিক সিপিএমকে ফ্রন্ট ছাড়ার চরমবার্তা পর্যন্ত দিয়ে দেয়৷ কংগ্রেসকে নিয়ে অবস্থান স্পষ্ট করতে হুঁশিয়ারি দেয় ফরওয়ার্ড ব্লকও৷ হুঁশিয়ারির সেই পরম্পরা বজায় থাকে এদিনের বৈঠকেও৷ সূত্র মারফত যে খবর পাওয়া যাচ্ছে তাতে এদিন তিন শরিক ছাড়াও ফ্রন্টের অন্যান্য শরিকরাও কংগ্রেস থাকলে বেরিয়ে যাবেন বলে বিমান বসুকে স্পষ্ট করে বলে দেন৷ চেয়ারম্যান ছাড়াও এদিনের বৈঠকে ছিলেন সিপিএমের অপর এক সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য৷ তিনি ভোটের আগে কংগ্রেসের সঙ্গে আসন সমঝোতা করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন৷ তাঁর সঙ্গে কার্যত বাগবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়েন ফ্রন্ট শরিকদের কয়েকজন৷ উত্তপ্ত বাদানুবাদে একটা সময় বৈঠক ভেস্তে যাওয়ার উপক্রম হয়৷ বৈঠক থেকে বেরিয়ে এসে এক শরিক বলেন, কংগ্রেস তো রাহুর মতো ঘাড়ে চেপে বসেছে৷ শেষ পর্যন্ত শরিকি চাপের কাছে নতিস্বীকার করে কংগ্রেস সঙ্গত্যাগে সম্মতি দিতে একপ্রকার বাধ্য হতে হয় সিপিএমকে৷
আলোচনার পর সাংবাদিক সম্মেলনে বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসুও জানিয়ে দেন যে, ব্যাপক আকারে আন্দোলন, সংগ্রাম কর্মসূচি গ্রহণ করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে৷ তবে এই সব কর্মসূচিতে কংগ্রেস থাকছে না৷

Advertisement

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement