নন্দন দত্ত, সিউড়ি: অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mandal) বিরুদ্ধে কোন কোন ধারায় মামলা করেছেন শিবঠাকুর মণ্ডল, কী কী ধারায় মামলা করেছেন তিনি। সেই তথ্য জানতে দুবরাজপুর আদালতের কাছে মামলার সার্টিফায়েড কপি চেয়েছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। সোমবার তাদের সেই আরজিতে সাড়া দিল আদালত। সরকার পক্ষের আপত্তি উড়িয়ে মামলার কপি ইডির আইনজীবীকে দিতে রাজি হয়েছে আদালত।
গরু পাচার মামলায় বেআইনি আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ তুলে অনুব্রতকে গ্রেপ্তার করেছে ইডি। জেরার স্বার্থে তাঁকে দিল্লি নিয়ে যেতে চেয়েছিল তারা। অনুমতিও মিলেছিল আদালতের। কিন্তু দিল্লি নিয়ে যাওয়ার আগেই তৃণমূল কর্মী শিবঠাকুর মণ্ডলের দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে দুবরাজপুর পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হন অনুব্রত। তাঁকে আসানসোল জেল থেকে দুবরাজপুর থানায় নিয়ে আসা হয়। দুবরাজপুর আদালতের নির্দেশে আপাতত সেখানেই রয়েছেন তিনি। ফলে তার দিল্লিযাত্রা আটকে যায়।
এদিকে এই মামলার বিস্তারিত তথ্য-সহ মামলার সার্টিফায়েড কপি চেয়েছিল ইডি। এই আরজি জানিয়ে গত ২২ ডিসেম্বর আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। কিন্তু এই আরজির বিরোধিতা করেন সরকার পক্ষের আইনজীবী। তাঁর দাবি ছিল, এই মামলায় ইডি তৃতীয়পক্ষ। তাই তাদের মামলার কপি দেওয়া উচিত নয়। পালটা ইডির তরফে জানানো হয়, অনুব্রতর বিরুদ্ধে গরু পাচার, বেআইনি লেনদেন, অবৈধ সম্পত্তির মতো একাধিক মামলা রয়েছে। তার তদন্ত করছে ইডি। রাজ্য পুলিশের গ্রেপ্তারির ফলে সেই তদন্ত থমকে গিয়েছে। তাই মামলার সার্টিফায়েড কপি পেতেই পারে ইডি। এদিন ইডির আইনজীবীর সওয়াল শুনে সায় দেন বিচারক। সার্টিফায়েড কপি তুলে দিতে রাজি হয় আদালত।
প্রসঙ্গত, গরুপাচার মামলায় অনুব্রতকে গ্রেপ্তারের পর থেকেই রহস্যের শিকড়ে পৌঁছনোর মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ইডি অনুব্রতকে দিল্লি নিয়ে জেরার আবেদন জানিয়েছিল। অনুমতি মিললেও শেষে দুরবাজপুরে দায়ের হওয়া মামলায় গ্রেপ্তার করা হয় অনুব্রতকে। ফলে তাকে দিল্লি নিয়ে যাওয়া যায়নি।