গোবিন্দ রায়, বসিরহাট: করোনা (Coronavirus)আতঙ্ক কাটিয়ে প্রায় ২ বছর পর খুলেছে রাজ্যের সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। স্কুলে ফিরছে কচিকাঁচারাও। করোনা পূর্ববর্তী সময়কার ছন্দ ফিরেছে। কিন্তু বসিরহাটে ঠিক উলটো ছবি চোখে পড়ল। স্কুলের ক্যাম্পাস যখন পড়ুয়াদের সমাগমে স্বাভাবিক ছন্দে ফেরার কথা, সেসময় বসিরহাট (Basirhat)হাইস্কুলের দরজা বন্ধ। স্কুল, ক্লাস বন্ধ রেখে সেখানে চলছে ‘দুয়ারে সরকার’ প্রকল্পের কাজ। ঘটনায় প্রতিবাদে সরব এলাকাবাসী। বাড়ছে ক্ষোভ।
বসিরহাট এলাকার শতাব্দী প্রাচীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বসিরহাট হাইস্কুল। যেখানে স্কুলের মূল প্রবেশদ্বারের ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে বসিরহাট মহকুমা শাসকের দপ্তর। সেখানে স্কুল বন্ধ রেখে ‘দুয়ারে সরকার’ (Duare Sarkar)প্রকল্পের কাজ হয় কীভাবে? এই প্রশ্ন তুলে নিন্দায় সরব বসিরহাটবাসী। এতদিন পর স্কুল খুললেও সরকারি কাজের কারণে স্কুলে যেতে না পারায় মুখ ব্যাজার খুদে পড়ুয়াদেরও। তবে এ নিয়ে মুখ খুলতে চাননি বসিরহাট হাইস্কুলের কোনও শিক্ষকই। মহকুমা শাসক মৌসুম মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গেও যোগাযোগ করা হয়েছিল। কিন্তু তিনিও ফোন ধরেননি।
জানা গিয়েছে, বসিরহাট পৌরসভার ৬ এবং ৭ ওয়ার্ডের সংযোগস্থলে বসিরহাট হাইস্কুল। ঠিক উলটোদিকে মহকুমা শাসকের (SDO) বাংলোর পাঁচিল। সেখানেও পুর ভোটের প্রার্থীদের প্রচারের ফ্লেক্স, ব্যানার টাঙানো। তা নিয়েও সমালোচনা শুরু হয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, দীর্ঘদিন বাদে খুলেছে স্কুল। সরকারি কাজের জন্য কেন স্কুলের ক্লাস বন্ধ? এই প্রশ্ন তুলছেন অভিভাবকরা। সন্তানদের পড়াশোনা নিয়ে চিন্তিত তাঁরা। এতদিন পর স্কুল খুললেও যদি ছোটরা ক্লাস না করতে পারে, তাহলে তাদের পঠনপাঠন ক্ষতিগ্রস্ত হবে, এই আশঙ্কা অভিভাবকদের।
১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে রাজ্যজুড়ে শুরু হয়েছে ‘দুয়ারে সরকার’ প্রকল্প। সামনেই পুরভোট। তার আগে এই শিবিরে মুখ্যমন্ত্রীর ছবি না থাকা নিয়ে নির্দেশিকা জারি করেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। এছাড়া রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের হাজির থাকা নিয়েও নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। যদিও কাজ যেমন চলছে, তেমন চলতে পারবে বলেই জানিয়েছে কমিশন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.