নব্যেন্দু হাজরা: সকাল থেকেই আংশিক মেঘলা আকাশ। রোদ উঠলেও মেঘের ভ্রুকুটি দেখা যাচ্ছে জেলার সর্বত্র। কাল থেকে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়তে পারে উত্তরবঙ্গে। শুক্রবার দক্ষিণবঙ্গে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস জানায় আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর।
আগামী ২৪ ঘন্টাতেও বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির সামান্য সম্ভাবনা দক্ষিণবঙ্গে। বাতাসে জলীয়বাষ্পের পরিমাণ বেশি থাকায় বাড়বে আদ্রতাজনিত অস্বস্তি। কলকাতায় আংশিক মেঘলা আকাশ। রাতের দিকে সামান্য ঝড় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার সারাদিন চলবে ঝড়-বৃষ্টি। উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে অবশ্য ঝড় বৃষ্টির সম্ভাবনা কম। বিক্ষিপ্তভাবে সামান্য ঝড়-বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে দক্ষিণবঙ্গের দু-একটি জায়গায়। বৃহস্পতিবার উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি ও উত্তর দিনাজপুরে রয়েছে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা। দক্ষিণবঙ্গের নদিয়া, মুর্শিদাবাদ ও উত্তর দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনার কথা জানায় হাওয়া অফিস। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হবে অন্যান্য জেলাগুলিতেও। তবে শুক্রবার থেকে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়বে দক্ষিণবঙ্গে। বৃষ্টি কমবে উত্তরবঙ্গে। দক্ষিণবঙ্গের বীরভূম, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, পশ্চিম বর্ধমান, মুর্শিদাবাদ জেলায় ৭০ থেকে ১১০ মিলিমিটার অর্থাৎ ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানা যায়। শনিবার পর্যন্ত বৃষ্টি হবে দক্ষিণবঙ্গে। তারপর পরিষ্কার হবে আকাশ। আজ সকালের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২২.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৮.৮ ডিগ্রী। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ ৬৮ থেকে ৯৩ শতাংশ। এপর্যন্ত বৃষ্টি হয়েছে ১.২ মিলিমিটার।
হাওয়া অফিস থেকে জানা যায়, জোড়া ঘূর্ণাবর্তের প্রভাব রাজ্যে। উত্তরবঙ্গ-সহ ছত্রিশগড়েও রয়েছে ঘূর্ণাবর্ত। এর টানেই প্রচুর জলীয়বাষ্প ঢু্কেছে রাজ্যে। ফলে তৈরি হচ্ছে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ঝড়-বৃষ্টির সম্ভাবনা। এমতাবস্থায় গভীর সমুদ্রে যে মৎস্যজীবীরা মাছ ধরতে গেছেন তাঁদের জন্য সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে। আজ রাতের মধ্যেই ফিরতে নির্দেশ করে দেওয়া হয়েছে আবহাওয়া দপ্তরের তরফ থেকে। আগামীকাল ৩০ শে এপ্রিল থেকে দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর, পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর, আন্দামান সাগরে অনির্দিষ্টকালের জন্য মৎস্যজীবীদের প্রবেশ নিষেধ করা হয়েছে।
মৌসম ভবন জানায়, ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়ার মাঝে মালাক্কা প্রণালীতে ঘূর্ণাবর্ত সৃষ্টি হয়েছে। এই ঘূর্ণাবর্ত ক্রমশ উত্তর উত্তর-পশ্চিম দিকে সরে দক্ষিণ আন্দামান সাগরে ঢুকবে। সেখানে নিম্নচাপে পরিণত হবে ঘূর্ণাবর্তটি। শনিবারের মধ্যে এটি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে। প্রথমে উত্তর উত্তর-পশ্চিম এবং পরে উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হবে। অতি গভীর নিম্নচাপ রূপে এটি শক্তি বাড়িয়ে ঘণ্টায় ৭০ কিলোমিটার গতিবেগে ঝড়ো হাওয়ার সঙ্গে প্রবেশ করবে মায়ানমার উপকূলে। সরাসরি এর প্রভাব না পড়লেও শুক্রবার থেকে এর প্রভাবে জলীয়বাষ্প ঢুকে বৃষ্টি বাড়াবে দক্ষিণবঙ্গে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.