বিপ্লবচন্দ্র দত্ত, কৃষ্ণনগর: শীতের রাতে লোকাল ট্রেন নির্দিষ্ট স্টেশনে না দাঁড়ানোয় বিপত্তি। রাতদুপুরে বিপাকে পড়লেন যাত্রীরা। বিপদ বুঝে এমারজেন্সি ব্রেক কষে দাঁড় করানো হয় ট্রেনটিকে। বুধবার রাতে এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে নদিয়ার ফুলিয়ায়। যাত্রীদের অভিযোগ, চালক মদ্যপ অবস্থায় ট্রেন চালাচ্ছিলেন। তাই ট্রেন দাঁড় না করিয়ে টেনে নিয়ে যান। ফলে নির্দিষ্ট স্টেশনে ওঠানামা করতে পারেননি যাত্রীরা। খবর পেয়ে চালকের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত শুরু করেছে পূর্ব রেল। মদ্যপ ছিল কি না, জানতে হয়েছে ব্রিদ অ্যানালাইজার টেস্টও।
রাত ৯.৫০এ শিয়ালদহ থেকে ছাড়ে শান্তিপুর লোকাল। সেটি ফুলিয়া স্টেশনে পৌঁছয় রাত ১১টা ৫৫ নাগাদ। ট্রেন বাতিল না থাকলে কোনওদিনই এর অন্যথা হয় না। কিন্তু বুধবার রাতেই ঘটে গেল ব্যতিক্রমী ঘটনা। ট্রেনটি ফুলিয়া স্টেশনে না দাঁড়িয়ে সোজা গিয়ে থামে পরের স্টেশন বাথনা কৃত্তিবাস স্টেশনে। ফলে ফুলিয়ার যাত্রীরা সেখানে নামতে পারেননি। বাথনা কৃত্তিবাস স্টেশনে ট্রেনটি থামলে তাঁরা নেমে চলে যান ট্রেন চালকের কেবিনের সামনে। যাত্রীদের অভিযোগ, সেসময় চালক মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন। তাই ট্রেনটি স্টেশনে থামাতে ভুলে গিয়েছিলেন। ওই সময় চালকের কেবিনে ছিলেন গার্ডও। বিপদ বুঝে তিনিই এমারজেন্সি ব্রেক কষে ট্রেনটি থামান।
লোকাল ট্রেনে রাতের যাত্রা নিয়ে এমনিতেই অভিযোগের অন্ত নেই। একটু বেশি রাত হলে নিরাপত্তাহীনতা বাড়তে থাকে। মহিলা কামরায় রেলের নিরাপত্তারক্ষী থাকার নিয়ম থাকলেও, অনেক সময়েই তা থাকে না। ফলে রাত বাড়তে থাকলেই কিছুটা দূরের ট্রেনে সফর ঝুঁকির হয়ে যায়। এই ঝুঁকি নিয়েই কাজের তাগিদে নিত্যদিন যাতায়াত করতে হয় অনেককে। তারই মধ্যে নির্দিষ্ট স্টেশনে ট্রেন না থামার অর্থ ফের উলটোদিকের ট্রেন ধরে গন্তব্যে পৌঁছনো, যাতে অতিরিক্ত সময়ও লাগে। বুধবার রাতে শান্তিপুর লোকাল ফুলিয়া স্টেশনে না থামায় এমনই বিপত্তিতে পড়েন যাত্রীরা। তাঁরা চালককে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখান।
ঘটনা রেল কর্তৃপক্ষের কানে পৌঁছনোমাত্র তদন্ত শুরু হয়। পূর্ব রেলের শিয়ালদহ ডিভিশনের সিপিআরও নিখিল চক্রবর্তী জানিয়েছেন, ”কী কারণে চালক ওই স্টেশনে ট্রেন থামাননি, তা এখনই বলা সম্ভব নয়। বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়েছে। চালককে ডেকে পাঠানো হয়েছে। ব্রিদ অ্যানালাইজার টেস্টও করানো হয়েছে তাঁর। প্রাথমিকভাবে, অ্যালকোহল পাওয়া যায়নি।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.