রাজা দাস, বালুরঘাট: গঙ্গারামপুর স্টেশনের উন্নীতকরণ কাজের আগে পরিদর্শনে এলেন উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলের ডিআরএম চন্দ্রপ্রকাশ গুপ্ত। তবে, সফরসূচিতে বালুরঘাট স্টেশন পরিদর্শনের কথা থাকলেও তিনি আসেননি। শনিবার গঙ্গারামপুর এবং তপনের রামপুর স্টেশন পরিদর্শনকালীন ডিআরএমের কাছে তুলে ধরা হয় পরিকাঠামোগত সমস্যাগুলি।
রেল সূত্রের খবর, গঙ্গারামপুর স্টেশনটিতে বি-গ্রেড স্টেশনে উন্নীত করতে ১৮ কোটি ৮৬ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি কাজের টেন্ডার খোলা হবে। তার আগে স্টেশনের পরিস্থিতি, প্ল্যাটফর্ম এবং আন্ডারপাসের সমস্যাগুলি ডিআরএম সরজমিন খতিয়ে দেখেন। সঙ্গে বিভাগীয় সুপারিনটেন্ডেন্ট থেকে একদল সহকারি ও জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন। গঙ্গারামপুর স্টেশনের হাল খতিয়ে দেখার পাশাপাশি ইঞ্জিনিয়রদের নিয়ে নকশা যাচাই করেন। সেখানে ডিআরএমের কাছে উঠে আসা অভিযোগ অনুযায়ী, গঙ্গারামপুর স্টেশনে রেলপথ থেকে প্ল্যাটফর্ম অত্যন্ত নিচু। ফলে ট্রেনে উঠতে গিয়ে যাত্রীরা চরম নাকাল হন। তাছাড়া স্টেশনে যাত্রী পরিষেবার কোনও ব্যবস্থা নেই বলে অভিযোগ। নেই জল ও আলোর সঠিক ব্যবস্থা। বৃষ্টি হলে আন্ডারাপাস জলে ডুবে থাকে বলেও উঠেছে অভিযোগ।
[ সাইকেল চালানো নিয়ে বিবাদ, ধারালো অস্ত্রের কোপে কাটা গেল পুরুষাঙ্গ ]
ডিআরএম চন্দ্রপ্রকাশ গুপ্তা জানান, গঙ্গারামপুর রেলস্টেশনটি ডি-গ্রেড থেকে বি-গ্রেড শ্রেণিভুক্ত স্টেশনে উন্নীত হচ্ছে। সেই কাজের পরিকল্পনা খতিয়ে দেখা হয়েছে। গঙ্গারামপুর রেল উন্নয়ন কমিটির সম্পাদক অজয় দাস বলেন, লাগাতার দাবি ও আন্দোলনের ফলে রেল কর্তৃপক্ষ পরিকাঠামো উন্নয়নে উদ্যোগী হওয়ায় আমরা খুশি। দ্রুত কাজ শুরু হবে বলে ডিআরএম আশ্বাস দিয়েছেন।
এদিন কাটিহার থেকে সেলুনকারে চেপে ডিআরএম চন্দ্রপ্রকাশ মালদহের গাজল স্টেশন পরিদর্শনের পর গঙ্গারামপুরে আসেন। এরপর তপনের রামপুর স্টেশন পরিদর্শন করে বিকেলে মালদহের দিকে ফিরে যান। শীঘ্রই দ্বিতীয় দফার সফরে বালুরঘাটে আসবেন বলে ডিআরএম জানিয়েছেন।
[ ‘চেন কিলার’-এর দৌরাত্ম্য কালনায়, গলায় লোহার শিকল পেঁচিয়ে চলছে লুটপাট ]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.