ছবি: প্রতীকী
নন্দন দত্ত, বীরভূম: শক্তিগড় হত্যাকাণ্ডের (Shaktigarh Murder) পর পেরিয়েছে বেশ কয়েকদিন। কিন্তু আবদুল লতিফের গাড়ির চালক নূর হোসেন কোথায়? তা নিয়ে ধন্ধে তার পরিবার। নূরের ভাই আক্তার হোসেন মঙ্গলবার দাবি করেন, তাঁর দাদা বাড়ি ফেরেননি এখনও। ওদিকে রাজু ঝাঁ খুনের ঘটনার পরে তাকে শক্তিগড় থানার পুলিশ ছেড়ে দিয়েছে বলে দাবি। এমনকী জেলা পুলিশের দাবি, নূর হোসেন নাকি দুবরাজপুরের ইসলামপুরে নিজের বাড়িতেই আছেন। চাঞ্চল্যকর খুনের ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী তথা পুলিশে অভিযোগকারী নূর হোসেনের উধাও হয়ে যাওয়া ভাবিয়ে তুলেছে এলাকাবাসী তথা তার পরিবারকে।
দুবরাজপুরের ১০ নম্বর ওয়ার্ডের আসরফি পাড়ায় দোতলা বাড়িতে বাস করতেন নূরের। চার ভাইয়ের বড় তিনি। তাঁর ভাই আক্তার হোসেন জানান, গত পাঁচ বছর ধরে গরু পাচার চক্রে অভিযুক্ত লতিফের গাড়ির চালক হিসাবে কাজ করেন তার দাদা। কখনও বাড়ি ফেরেন কখনও আবার বাইরে বাইরেই ঘোরেন। তাঁর পরিবারের দাবি, শনিবার সকাল সাড়ে ছটা নাগাদ ইলামাবাজারের উদ্দেশ্যে লতিফের কথা মতন বের হয়ে যান নূর। তারপরে আর বাড়ি ফেরেনি। আক্তার হোসেনের কথায়, “আমরা শনিবার শক্তিগড়ে গুলি চালানোর খবর পেয়ে উদ্বিগ্ন হই। পরে রবিবার শক্তিগড় থানায় দাদার সঙ্গে দেখা করতে যাই। দেখা হয়। কিন্তু কোনও কথা হয় না। আমাকে থানা থেকে বের করে দেওয়া হয়। দাদাও চলে যেতে বলে। তারপর থেকে আর দাদার কোনও খোঁজ নেই।”
এদিকে দুবরাজপুরের বাড়িতে নূর হোসেনের স্ত্রী ও তার তিন মেয়ে আছে। তারা সামনে না এলেও রমজান মাসে পরিবারের লোক না ফেরায় তারাও চিন্তায়। বিশেষ করে লতিফের চালক পুলিশের কাছে দাবি করেছেন রাজু ঝাঁয়ের সঙ্গে তার মালিক ছিল। তার প্রত্যক্ষ প্রমাণের ভিত্তিতে আততায়ীদের স্কেচ আঁকা হয়েছে। রাজু খুনের মামলায় তার বয়ান, তার উপস্থিতি এই মুহুর্তে খুব জরুরী। এই অবস্থায় নূর ঠিক কোথায় আছে সে নিয়েই সন্দেহ তৈরি হয়েছে সর্বত্র।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.