সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, দুর্গাপুর: জবরদখলের জন্যে বন্ধ রাস্তা সম্প্রসারণের কাজ৷ দখল মুক্ত করতে উদ্যোগ প্রশাসন ও পূর্ত দপ্তরের৷ গুশকরা-বলগোনা-মানকর রাজ্য সড়ক বা বিজিএম রোডে জবরদখল উচ্ছেদ করা হবে বলে জানা গিয়েছে৷
পূর্ত দপ্তরের এই রাজ্য সড়ক বেহাল অবস্থায় পড়েছিল দীর্ঘদিন ধরে৷ সেই রাস্তা এবার সংস্কার শুরু হয়েছে৷ শুধু সংস্কারই নয় প্রায় সম্পূর্ণ বদলে ফেলা হচ্ছে এই রাস্তার চেহারা৷ আগে ছিল তিন মিটার চওড়া৷ সেই রাস্তাই চওড়া হয়ে করা হচ্ছে সাত মিটার৷ রাস্তার দুই ধারে কংক্রিট দিয়ে ঢাকা নিকাশিনালাও থাকবে৷ মোট ৩৮ কিলোমিটার এই রাস্তার ১৮ কিলোমিটার পূর্ত দপ্তরের বর্ধমান ডিভিশনের অধীনে কাজ চলবে৷ বাকি অংশ আসানসোল ডিভিশনের অংশে পড়ে৷ বর্তমানে এই আসানসোল ডিভিশনের অংশটিই সম্প্রসারিত করা হচ্ছে৷ ছয় সাত মাস ধরে রাস্তা সম্প্রসারণের কাজও চলছে৷ কিন্তু, আটকে আছে বুদবুদ বাজারের মুখে৷
পূর্ত দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, বুদবুদ বাজার থেকে মানকর হাটতলা পর্যন্ত অংশটি জবরদখলের জন্যেই এই অংশে রাস্তা সম্প্রসারণের কাজ শুরু করা যাচ্ছে না৷ বাজার ছাড়াও এই এলাকায় গড়ে উঠেছে বসতবাড়ি৷ দীর্ঘদিন ধরেই এইভাবেই রোজ দখল হয়েছে সরকারি জায়গা৷ রাস্তা সম্প্রসারণের প্রয়োজনে দখল করা অংশগুলিই এখন মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে প্রশাসন ও পূর্ত দপ্তরের৷ শুক্রবার দখলকৃত জমি চিহ্নিতকরণ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে৷ গলসী-ভ্ল ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তরের (বিএলএলআরও) আধিকারিকদের নিয়ে পূর্ত দপ্তর চিহ্নিতকরণের পাশাপাশি জরিপের কাজও শুরু করে৷
পূর্ত দপ্তরের আসানসোল ডিভিশনের নির্বাহী বাস্তুকার অতনু সেন বলেন, “দখল জমি চিহ্নিতকরণের কাজ শুরু হয়েছে৷ এখনও বাকি আছে৷ তবে স্থানীয় মানুষ এ ব্যাপারে সহযোগিতা করছে৷ পূর্বেও তাদের সহযোগিতা আমরা পেয়েছি৷ খুব শীঘ্রই দখলমুক্ত হয়ে এই রাস্তার কাজ শেষ হবে৷” নির্ধারিত আগামী এক বছরের মধ্যেই বলগোনা-গুশকরা-মানকর রাস্তার কাজ শেষ হবে বলেই মনে করছেন পূর্ত দপ্তরের আসানসোল ডিভিশনের আধিকারিকরা৷ এই রাস্তার বর্ধমান অংশের সম্প্রসারণের কাজের জন্যেও প্রকল্প জমা পড়েছে বলে জানা গিয়েছে৷
কুনুর সেতু ফাটল নতুন সমস্যা দেখা দিয়েছে৷ ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে পুলিশকেও যান নিয়ন্ত্রণের জন্যে চিঠি দিয়েও বিষটি নজরে আনা হয়েছে৷ ভারী গাড়ি বা যাত্রীবাহী বাস নিয়ন্ত্রণ করার জন্যে চিঠি দেওয়া হচ্ছ পুলিশকে বলে জানিয়েছেন বিডিও অরবিন্দ বিশ্বাস৷ আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশের ট্রাফিক বিভাগকেও চিঠি দেওয়া হচ্ছে ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে৷ যদিও এখনই উদ্বেগের কোন কারণ নেই বলেই জানিয়েছে পূর্ত দপ্তর৷
পূর্ত দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২৮ জুন পূর্ত দপ্তরের চিফ ইঞ্জিনিয়াররা সেতু পরিদর্শন করে গিয়েছেন৷ নিরাপত্তাজনিত কোন উদ্বেগ প্রকাশ করেননি তিনি বলে দাবি পূর্ত দপ্তরের৷ ওই দিনই বিকল্প সেতু-নির্মাণের জন্য মাটি পরীক্ষার কাজও শুরু হয়৷ এই সেতু সংস্কার ও চাপ কমাতে বিকল্প রাস্তা তৈরির যে প্রস্তাব পূর্ত দপ্তর সরকারের কাছে পাঠিয়েছিল তা আগামী ১৫ জুনের মধ্যে চূড়ান্ত রূপ পাবে বলে জানা গিয়েছে৷ পূর্ত দপ্তরের আসানসোল ডিভিশনের নির্বাহী বাস্তুকার কৌশিক কর্মকার জানান,“ ওই সেতু এখনই বিপজ্জনক বলেই রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে৷ সতর্কতামুলক ব্যবস্থা হিসাবে নদীর স্রোতকে নিয়ন্ত্রণের জন্যে বালির বস্তা ও বোল্ডার ফেলার কাজ চলছে৷ এরফলে সরাসরি সেতুর পিলার ক্ষতিগ্রস্ত হবে না৷”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.