অর্ণব আইচ: বাংলাদেশের সীমান্ত থেকে কলকাতায় পাচার হওয়ার আগেই গাড়ির ভিতর ‘গোপন জায়গা’ থেকে উদ্ধার বিপুল পরিমাণ সোনা। সোমবার রাতে উত্তর ২৪ পরগনার হাবড়া থেকে ৩ কোটি ৩০ লক্ষ টাকার সোনা উদ্ধার করল ডিরেক্টরেট অফ রেভিনিউ ইন্টেলিজেন্স (ডিআরআই)। এই ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ডিআরআই সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত দুজনের নাম রাজেশ সাহা ও সঞ্জয় বারিক। দুই অভিযুক্ত উত্তর ২৪ পরগনার অশোকনগর ও হাবড়ার বাসিন্দা। সোমবার রাতে হাবড়া থেকে গাড়ি করে দুজন কলকাতার দিকে আসছিলেন। তাঁদের মধ্যে রাজেশ গাড়ির মালিক। সঞ্জয় গাড়ি চালাচ্ছিলেন। সূত্রের খবর অনুযায়ী বাংলাদেশ সীমান্তের কাছ থেকেই গাড়িটির পিছু নেন ডিআরআইয়ের গোয়েন্দারা। হাবড়ায় এসে গোয়েন্দারা সোনা পাচারকারীদের গাড়িটি আটক করেন। গাড়ির ডিকি খুলে কিছুই মেলেনি। তখন দু’জনকে আটকে রেখে গাড়িটি ভাল করে পরীক্ষা করা শুরু হয়।
গাড়ির চালকের পাশের সিটের ফুটম্যাটের তলা থেকে বেরিয়ে আসে একটি প্যাকেট। তা খুলতেই বের হয় কয়েকটি সোনার টুকরো। এবার পুরো গাড়ি তল্লাশি চালানোর সময় খুলে ফেলা হয় গাড়ির পিছনের সিট। সিটের মধ্যে থেকেই প্যাকেটবন্দি অবস্থায় বেরিয়ে আসে সোনার বিস্কুট। ডিআরআইয়ের সূত্র জানিয়েছে, মোট ৩২টি সোনার বিস্কুট ও ২৮টি সোনার টুকরো উদ্ধার করা হয়েছে। এই চোরাই সোনার ওজন ৫ কিলো ৩০০ গ্রাম। তার দাম ৩ কোটি ৩০ লক্ষ টাকা।
গোয়েন্দা সূত্র জানিয়েছে, বাংলাদেশ থেকে চোরাপথে এজেন্টদের হাত ধরে আসে ওই বিপুল পরিমাণ সোনা। ওই সোনা মধ্য কলকাতার পোস্তার সোনাপট্টিতে রাতেই পাচার করা হচ্ছিল। এই বিদেশি সোনার বিস্কুটগুলি থেকে সোনার গয়না তৈরি করার পর সেগুলি ফের বাংলাদেশে পাচারের ছক কষা হত। গোয়েন্দাদের মতে, এই পাচারকারী ছাড়াও সোনা পাচার চক্রের পিছনে রয়েছে আরও মাথারা। মঙ্গলবার দুই অভিযুক্তকে ব্যাঙ্কশাল আদালতে তোলা হলে তাদের ৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন বিচারক। তিনি ধৃতদের জেলে জেরা করার অনুমতিও দেন। জেলে গিয়ে তাদের জেরা করে সোনা পাচার চক্রের মাথাদের সন্ধান চালানো হবে বলে জানিয়েছে ডিআরআই।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.