অরূপ বসাক, মালবাজার: ডুয়ার্সে দিনে দিনে বেড়েই চলেছে নারী পাচার৷ বিশেষ করে চা-বাগান সংলগ্ন পিছিয়ে পড়া গ্রামগুলিতে বাড়ছে এই প্রবণতা৷ ভাল কাজের প্রলোভন দেখিয়ে ভিন্ রাজ্যে নিয়ে গিয়ে অবাধে চলছে নাবালিকা বিক্রির কারবার৷ আর এই নিয়েই চূড়ান্ত দুশ্চিন্তায় জেলা প্রশাসন ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলির কর্তারা৷ মূলত, চা-বাগান এলাকায় অপরাধমূক কার্যকলাপ বৃদ্ধি রুখতে ও নারী পাচার রোধে কোমর বেধেছে মালবাজার ও দেরাদুনের দুটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা৷ সংস্থার সদস্যরা বিভিন্ন চা-বাগানে গিয়ে তৈরি করছেন ‘গার্লস ক্লাব’। এই ক্লাবের সদস্য হতে পারবেন শুধুমাত্র চা-বাগানের মেয়েরাই৷ বিভিন্ন সমস্যা তাঁরা নিজেরাই সমাধান করবেন৷ বিভিন্ন প্রয়োজনে পাশে থাকবে এই দুই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা।
কোনও অপরিচিত ব্যক্তি যদি গ্রামের কোনও মেয়েকে ভাল কাজ দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ভিন রাজ্যে নিয়ে যেতে চায়, তাহলে ওই ব্যক্তির সম্পর্কে ‘গার্লস ক্লাব’কে জানানোর কথা বলা হয়েছে৷ প্রয়োজনে বিষয়টি নিয়ে আলোচনাও করতে পারবেন গ্রামের মেয়ারা৷ এক্ষেত্রে সমস্ত রকম সহযোগিতা করবে ওই দুই সংস্থা৷ এমনকী, ‘গার্লস ক্লাব’ ও সংগঠনের সদস্যরা ওই অপরিচিত ব্যক্তির বিরুদ্ধে পুলিশের দ্বারস্থ হওয়ারও সুযোগ থাকছে৷
[মেয়ের চিকিৎসার জন্য প্রয়োজন ৩৫ লক্ষ টাকা, সাহায্যের আশায় অসহায় বাবা-মা]
সোমবার মালবাজার মহকুমার সাউগাও বস্তিতে ৪৫ জন মেয়েদের নিয়ে একটি ‘গার্লস ক্লাব’ তৈরি করল ডুয়ার্স এক্সপ্রেস মেল ও দেরাদুনের ওয়েলফেয়ার অ্যান্ড এডুকেশানাল অ্যাওয়ারনেস ফর ওম্যান নামে সংস্থা এই দুই সংস্থা৷ প্রতি সপ্তাহে এক বার করে ‘গার্লস ক্লাবে’র মেয়েদের নিয়ে বৈঠক করা হবে বলে দুই সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে৷ ইতিমধ্যে মালবাজার মহকুমায় তিনটি চা-বাগান ও একটি বস্তিতে এই ‘গার্লস ক্লাব’ তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংস্থার কর্মীরা৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.