Advertisement
Advertisement

Breaking News

ভোজবাড়ির পদে মিড-ডে মিল, কাটোয়ায় বিডিও-র আহ্বানে এগিয়ে এলেন স্থানীয়রাও

প্রশাসনের উদ্যোগে খুশি অভিভাবকরা।

Donate festive food for mid-day meal in schools, urges Katwa BDO
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:June 8, 2018 1:47 pm
  • Updated:June 8, 2018 1:47 pm  

ধীমান রায়, কাটোয়া: স্কুলছুটদের ফের বিদ্যালয়ের আঙিনায় ফেরাতে প্রাথমিক স্কুলে মিড ডে মিল চালু করেছে সরকার। কিন্তু, সীমিত বরাদ্দে তো আর পড়ুয়ার রোজ রোজ ভাল খাবার খাওয়ানো সম্ভব নয়। বেশিরভাগ স্কুলের সপ্তাহে একদিন মিড ডে মিলে পড়ুয়াদের ডিম-ভাত দেওয়া হয়। কোনও কোনও স্কুলে শিক্ষকের উদ্যোগে বড়জোর দু’দিন আমিষ পদের ব্যবস্থা হয়। অন্যথায় মিড ডে মিলে সবজি-ভাতই রোজকার মেনু। তাই মিড-ডে মিলের মেনুতে বৈচিত্র্য আনতে স্থানীয় বাসিন্দাদের সাহায্য চাইলেন পূর্ব বর্ধমানে কাটোয়া ২ নম্বর ব্লকের বিডিও শিবাশিস সরকার। তাঁর আবেদন, এলাকায় বিয়ে, পৈতা বা অন্য কোনও অনুষ্ঠানের ভোজের খাবারের কিছুটা পড়ুয়াদের জন্য বরাদ্দ করুন স্থানীয় বাসিন্দারা। ব্লকের সমস্ত স্কুলে লিখিত আকারে এই প্রস্তাব পাঠিয়েও দিয়েছেন তিনি। বিডিও-র অভিনব উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন অভিভাবকরা। সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারাও।

[প্রশ্নফাঁস কাণ্ডে সাসপেন্ড ময়নাগুড়ির প্রধান শিক্ষক, বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ পর্ষদের]

Advertisement

কাটোয়া ২ ব্লকের বিডিও উদ্যোগেই মিড ডে মিলে ভুরিভোজ খেল পোস্তগ্রাম অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা। সুস্বাদু খাবারের টানে বৃহস্পতিবার হাজির ছিল ১১৮ জনই পড়ুয়ারা। শিক্ষকরা তো বটেই, পরিবেশনে হাত লাগিয়েছিলেন খোদ বিডিও-ও। মেনু?  ভাত, ডাল, এঁচোড় চিংড়ি, চাটনি এবং শেষপাতে আবার মিষ্টি। পোস্তগ্রাম অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শ্যামল ঘোষ জানালেন, মিড ডে প্রকল্পে যুক্ত হওয়ার বিষয়ে গ্রামবাসীদের সঙ্গে বৈঠক করার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিডিও। সহযোগিতা করতে রাজি হয়েছেন অনেকেই। তাই স্কুলের মিড-ডে মিলে এমন এলাহি আয়োজন করা গিয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা শুভেন্দু রুদ্র জানিযেছেন, ‘আমরা ঠিক করেছি, গ্রামের কোনও অনুষ্ঠান হলে ভোজের দু’একটি পদ স্কুলের পড়ুয়াদের জন্যও বরাদ্দ করা হবে।’

জানা গিয়েছে, পূর্ব বর্ধমানে কাটোয়া-২ নম্বর ব্লকে সরকারি প্রাথমিক স্কুলের সংখ্যা ৮৭। সমস্ত স্কুল কর্তৃপক্ষকে চিঠি পাঠিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের সাহায্য নিয়ে মিড-ডে মিলে বৈচিত্র্য আনার আবেদন জানিয়েছেন বিডিও শিবাশিস সরকার। স্থানীয় বাসিন্দা ও অভিভাবকদের সঙ্গে আলোচনা করছেন শিক্ষক-শিক্ষিকারা। অনেকে আগ্রহও দেখিয়েছেন বলে খবর। কাটোয়া ২ নম্বর ব্লকের বিডিও শিবাশিস সরকার জানিয়েছেন, মিড-ডে মিলে যদি একটু ভাল খাবারের ব্যবস্থা করা যায়, তাহলে স্কুলছুটের সংখ্যা কমবে। স্কুলের সঙ্গে স্থানীয় বাসিন্দাদের যোগাযোগও আরও নিবিড় হবে। একই প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে এলাকার হাইস্কুল ও সরকারি মাদ্রাসাগুলিতেও।

ছবি: জয়ন্ত দাস

[প্রতিবন্ধকতাই কি ভিলেন? হাজার বাধা পেরিয়েও মাধ্যমিকে অকৃতকার্য বিশাখা]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement