Advertisement
Advertisement
Durga Puja 2022

১৮ সংখ্যার জাদুতেই মা দুর্গার আরাধনা, ৩০০ বছর ধরে এই রীতি মেনে পুজো ডোমকলের মন্দিরে

মন্দিরের মা খুব জাগ্রত, তাই পুজোর ক’দিন ভক্তদের ব্যাপক সমাগম হয়।

Domkal mandir Durga puja ritual | Sangbad Pratidin
Published by: Akash Misra
  • Posted:September 22, 2022 7:19 pm
  • Updated:September 22, 2022 7:19 pm

অতুলচন্দ্র নাগ: মন্দিরের প্রধান গেট বলছে স্থাপিত ১৭০২ সাল। তবে স্থানীয়দের দাবি, পুজো হচ্ছে তারও আগে। কারণ এই মন্দির তৈরির আগে মায়ের পুজো হত গ্রামের অন্যত্র উত্তরপাড়ায়। সে যেখানেই হোক, আর যত পুরানোই হোক আজও মুর্শিদাবাদের ডোমকলের ধূলাউড়ি দক্ষিণপাড়া বারোয়ারি দুর্গাপুজোর কাঠামোতে শুরুর একটি কাঠ রয়ে গিয়েছে। যেটি প্রতিমা বিসর্জনের পরেও সংগ্রহ করে রাখা হয়। উদ্যোক্তারা জানান, যারা পুজোর কাজে হাত লাগান, তাঁরা পুজোর কয়েকদিন আগের থকে নিরামিশ খেয়ে সংযম পালন করেন। তার জন্য কমিটি আলাদা লোক ঠিক করে আগে থেকেই। এছাড়াও ওই পুজোর কোনও কাজ ভাদ্র মাসে করা হয় না। এমনকী পুজোর মিটিং পর্যন্ত হয় না। একচালার দেবী মূর্তি তৈরির কাজ শ্রাবণ মাসেই অনেকটা হয়ে থাকে। বাকি কাজ হয় আশ্বিন মাসে।

[আরও পড়ুন: শান্তিনিকেতন হত্যাকাণ্ড: প্রতিবেশী খুদেকে খুনের কথা স্বীকার ধৃত রুবির, প্রকাশ্যে চাঞ্চল্যকর ভিডিও ]

পুজোর উদ্যোক্তা ও প্রাক্তন সম্পাদক অরবিন্দ মন্ডল জানান “ধূলাউড়ির দুর্গা মা জাগ্রত। এখানে মানত করে অনেকেই ফল পেয়ে থাকেন। আর তাই পুজোর ক’দিন মন্দিরে ভক্তদের ব্যাপক সমাগম হয়।’’ তিনি জানান, “আমাদের কোনও থিম নেই। তবুও দুর দুরান্তের মানুষ মায়ের কাছে আসেন কেবল আশীর্বাদ প্রার্থনায়।”এই মন্দিরের পুজোর সঙ্গে ১৮ সংখ্যাটি ওতোপ্রতো ভাবে জড়িয়ে আছে। পুজোর শুরু থেকেই ১৮ ছড়া কলা, ১৮ নারকেল, ১৮ পান, সুপারি। এমনকী, পরমান্ন ভোগের ক্ষেত্রেও হয় ১৮ পোয়া নয়তো ১৮ লিটার দুধের পরমান্ন হয়। পুজোর আতপ চাল থাকে ১৮ গুণিত ও ১৮ কলস গঙ্গা জল। অরবিন্দ মন্ডল জানান “মহালয়ার পর ষষ্ঠীর আগে কোনও একদিন ৯ জন ভক্ত বহরমপুরের গঙ্গার ঘাট থেকে নয় বাহক ১৮ কলস গঙ্গা জল নিয়ে মন্দিরে পৌছান।

Advertisement

এই আধুনিক যুগেও ওই নিয়মের কোনও পরিবর্তন করার সাহস দেখায়নি কেউ।” স্থানীয়রা জানান, একবার এক অতি উৎসাহী ব্যক্তি মায়ের কাছে পরা মানত ছোট ছোট গহনা জড়ো করে বড় কিছু করার উদ্যোগ নিয়েছিলেন। তার ফল ভাল হয়নি। তার পর থেকে নিয়মের পরিবর্তনর সাহস দেখায়নি কেউ।’’ এমনকি মায়ের কাছে মানত হরিরলুঠের বাতাসাও কমিটির দেওয়া দোকান থেকে কিনতে হয়। চার দিনে বাতাসার পাশাপাশি ১৬০ কেজি ছানার সন্দেশ তৈরি হয়। যার সবটাই মায়ের পুজোয় লাগে। সম্পাদক রেবতী মন্ডল জানান, “ অষ্টমী পুজোর পর মন্দির প্রাঙ্গনে হরিরলুঠের বন‌্যা বয়। মানত করে যারা ফল পেয়েছেন তাঁরাই আসেন। তাতে এক এক বছর ১০/১২ কুইন্টাল বাতাসা পরে। অনেকে নিজের ওজনের পরিমানেও বাতাসা দোন।”

Advertisement

[আরও পড়ুন:  জমিদারের প্রাণ ফিরিয়ে দিয়েছিলেন দেবী! ৩০০ বছর ধরে ডায়মন্ড হারবারের ভট্টাচার্য পরিবারে পূজিতা উমা]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ