Advertisement
Advertisement
Bankura

শৌচালয়েই সন্তান প্রসব, অপরিণত শিশুকে নিয়ে গেল কুকুর! হুলস্থুল বাঁকুড়ার হাসপাতালে

হাসপাতালের বিরুদ্ধে চরম গাফিলতির অভিযোগ পরিবারের। নিরাপত্তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।

Dog took the newborn from Bankura hospital
Published by: Subhankar Patra
  • Posted:November 19, 2024 5:56 pm
  • Updated:November 19, 2024 6:47 pm

অসিত রজক, বিষ্ণুপুর: অপরিণত সদ্যোজাতকে মুখে করে নিয়ে গেল পথকুকুর। বিস্তর খোঁজাখুঁজির পরও পাওয়া গেল না শিশুটিকে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে চরম গাফিলতির অভিযোগ তুলল পরিবার। আতঙ্কে কাটা অন্য রোগীরাও। কর্তৃপক্ষের সাফাই, বিষয়টি তারা খতিয়ে দেখছে। রাতে যাঁরা ডিউটিতে ছিলেন তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। সোমবার সন্ধ্যায় মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়ার সোনামুখী গ্ৰামীণ হাসপাতালে।

পেটে ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে আসেন প্রায় পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা প্রিয়া রায়। তিনি সোনামুখী ব্লকের কোচডিহি গ্রামের বাসিন্দা। কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রসূতিকে ইউরিন টেস্টের কথা বলেন। ননদ কল্পনা রায়ের সঙ্গে হাসপাতালের শৌচালয়ে যান তিনি। সেখানেই অপরিণত শিশুর জন্ম দেন ওই গৃহবধূ। তড়িঘড়ি পরিবারের লোকজন কর্তব্যরত নার্সদের ডাকেন। অভিযোগ, নার্সরা আসতে দেরি করেন। পরে প্রসূতিকে শয্যাতে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে সদ্যোজাত সেখানেই পড়ে থাকে। কিছুক্ষণ পরই প্রসূতির ননদ বাথরুমে এসে দেখেন শিশুটি সেখানে নেই। তিনি খোঁজাখুঁজি শুরু করলে অন্যান্য রোগীর আত্মীয়রা জানান, একটি কুকুর ওই সদ্যোজাতকে মুখে করে নিয়ে গিয়েছে।

Advertisement

আত্মীয়রা কুকুরটির পিছনে ধাওয়া করলে সে বাচ্চাটিকে নিয়ে পাশের ঝোপে চলে যায়। বিস্তর খোঁজাখুজির পরও শিশুটিকে পাওয়া যায়নি। পরে হাসপাতালে কর্তব্যরত পুলিশ এসে ঝোপটিতে তল্লাশি চালালেও হদিশ মেলেনি বলেই খবর। ঘটনায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বচসা বাধে পরিবারের। পরে রোগীকে বিষ্ণুপুর হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।

প্রসূতির ননদ কল্পনা রায় বলেন, “সন্ধ্যায় প্রিয়ার পেটে ব্যথা শুরু হলে ওঁকে নিয়ে হাসপাতালে আসি। সাড়ে ৭টা নাগাদ ডাক্তারবাবু, নার্সরা ইউরিন পরীক্ষার জন্য বলেন। বাথরুমে নিয়ে গেলে ওখানেই সন্তান প্রসব করে। নার্সদের খবর দেওয়া হলেও অনেক পরে আসেন তাঁরা। বাচ্চাটিকে ছাড়াই ওঁকে প্রসূতি বিভাগে নিয়ে যাওয়া হয়। ফিরে এসেই দেখি শিশুটি নেই। আশপাশে জিজ্ঞাসা করতে তাঁরা বলেন শিশুটিকে একটা কুকুর মুখে করে নিয়ে গিয়েছে। বাচ্চাটিকে আর খুঁজে পাইনি।” অভিযোগ, বাচ্চাটির বিষয়ে আর উচ্চবাচ্য না করে রোগীকে বিষ্ণুপুর হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। কল্পনার কথায়, “পুলিশ বলে, রোগী চিকিৎসার জন্য বিষ্ণুপুর নিয়ে যান। আমরা ওই রাতেই সোনামুখী হাসপাতাল থেকে বিষ্ণুপুরে দশটার দিকে এসে পৌঁছাই।”

এই ঘটনায় হাসপাতালের নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য কর্মীদের দায়িত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। কী করে হাসপাতালের ভিতরে কুকুর ঢুকল? একটি সদ্যোজাতকে কুকুর নিয়ে চলে গেল কেউ দেখতে পেলেন না? মঙ্গলবার সকালেও হাসপাতাল চত্বরে গিয়ে দেখা যায় ঘুরে বেড়াচ্ছে একাধিক পথকুকুর। ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে হাসপাতালে। সন্তান হারিয়ে কপাল ঠুকছেন মা।

২০২৪ এর পূজা সংক্রান্ত সমস্ত খবর জানতে চোখ রাখুন আমাদের দেবীপক্ষ -এর পাতায়।

চোখ রাখুন
Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement