Advertisement
Advertisement

Breaking News

সিউড়ি হাসপাতাল

গণইস্তফার আবেদনে স্বাক্ষর, কালো ব্যাজ পরে রোগী দেখলেন চিকিৎসকরা

সিউড়ি হাসপাতালে পরিষেবা যতটা সম্ভব স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করলেন আন্দোলনকারীরা।

Doctors wear black batch to protest NRS incident in Suri Hospital
Published by: Tanumoy Ghosal
  • Posted:June 14, 2019 5:12 pm
  • Updated:June 14, 2019 5:12 pm  

নন্দন দত্ত, সিউড়ি: নিরাপত্তার দাবিতে গণইস্তফা দেওয়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছেন ৬৭ জন চিকিৎসক। তবে শুক্রবার দিনভর সিউড়ি হাসপাতালে পরিষেবা যতটা সম্ভব স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করলেন আন্দোলনকারীরা। বহির্বিভাগ বন্ধ থাকলেও, জরুরি বিভাগে বুকে কালো ব্যাজ লাগিয়ে রোগী দেখলেন ডাক্তাররা। এদিন পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে সিউড়ি সদর হাসপাতালে যান স্থানীয় বিধায়ক ও রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান অশোক চট্টোপাধ্যায় ও জেলা পরিষদের সভাধিপতি বিকাশ রায়চৌধুরী।

[আরও পড়ুন: এনআরএস কাণ্ডে কী পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার, রাজ্যকে প্রশ্ন হাই কোর্টের]

সরকারি হাসপাতালে অচলাবস্থা তো কাটেইনি, উলটে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হুঁশিয়ারিতে এখন গণইস্তফা দিতে শুরু করেছেন চিকিৎসকরা। বৃহস্পতিবার কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে গিয়ে চার ঘণ্টার মধ্যে কাজ যোগ না দিলে জুনিয়র ডাক্তারদের হস্টেলে থাকতে দেওয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রীই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়ার দাবিতে গণইস্তফা দিয়েছেন আরজি কর, ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল, এমনকী, উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসকদের একাংশ।

Advertisement

বৃহস্পতিবার সুপারের সঙ্গে বৈঠকে ইস্তফা দেওয়ার ইচ্ছপ্রকাশ করেন সিউড়ি সদর হাসপাতালের ৬৭ জন চিকিৎসকও। ঘটনায় শোরগোল পড়ে যায়। সিউড়ি হাসপাতালে যান বিজেপি নেতা দুধকুমার মণ্ডল। আন্দোলনকারী ডাক্তারদের পাশে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের নিন্দা করেন তিনি। সেই সঙ্গে হাসপাতালে পরিষেবা স্বাভাবিক রাখারও আরজি জানান বীরভূম কেন্দ্রের বিজেপির পরাজিত প্রার্থী। শুক্রবার সকালে হাসপাতালের আউটডোরে ১৮৭ জন টিকিট কেটেছিলেন বলে জানা গিয়েছে। তবে চিকিৎসক না থাকায় তাঁরা পরিষেবা পাননি বলে অভিযোগ। উলটে বহির্বিভাগের রোগী ও রোগীর পরিজনদের বুকে কালো ব্যাজ পরিয়ে ডাক্তাররা তাঁদের আন্দোলনে শামিল করার চেষ্টা করেন বলে জানা গিয়েছে। সিউড়ি সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে বুকে কালো ব্যাজ পরে রোগী দেখেছেন চিকিৎসকরাও। আন্দোলনকারীদের পক্ষে অতনু শংকর দাস বলেন, ‘এনআরএস কাণ্ডের প্রতিবাদে আমরা আন্দোলন করছি। তবে পরিষেবাও স্বাভাবিক রেখেছি। কেউ বলতে পারবেন না সিউড়ি হাসপাতালে এসে রোগীরা পরিষেবা পাচ্ছেন না।’ আর গণইস্তফা? চিকিৎসরা জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার গণইস্তফার আবেদনে স্বাক্ষর করেছেন তাঁরা। কিন্তু অফিস বন্ধ থাকায় আবেদনপত্রটি জমা দেওয়া যায়নি। তবে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত তিনি গণইস্তফার কোনও আবেদন পাননি বলে জানিয়েছেন সিউড়ি হাসপাতালের সুপার।

ছবি: শান্তনু দাস

[আরও পড়ুন: কর্মবিরতিই কাড়ল ছেলেকে, নিথর শিশুর দেহ আঁকড়ে হাহাকার যুবকের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement