নিজস্ব সংবাদদাতা, বনগাঁ: প্রসূতির সঙ্গে দুর্ব্যবহার৷ সেই অভিযোগে চিকিৎসকের চেম্বার ভাঙচুর রোগীর পরিবারের৷ বুধবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁয়। পরিস্থিতি আয়ত্তে আনতে ঘটনাস্থলে যায় বনগাঁ থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী।
জানা গিয়েছে, ওই যুবতী অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার পর থেকেই মহীতোষ মণ্ডল নামে এক চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে ছিলেন। তিনি বনগাঁ হাসপাতালেরও চিকিৎসক। হঠাৎ ওই যুবতী অসুস্থ হয়ে পড়েন৷ ১৮ মার্চ ওই যুবতীকে বনগাঁ হাসপাতালে ভরতি করেন রোগীর পরিজনেরা৷ যুবতীকে হাসপাতালে ভরতি করার পর থেকেই মহীতোষ মণ্ডল নামে ওই চিকিৎসক তাঁকে দেখভাল করছিলেন৷ অভিযোগ, ওই চিকিৎসক একটি বেসরকারি হাসপাতালে ওই যুবতীকে ভরতি করার পরামর্শ দিয়েছিলেন। তার পরামর্শ না মেনেই সরকারি হাসপাতালে যুবতীকে ভরতি করায় তাঁর পরিবার৷ তার জেরেই ক্ষুব্ধ হন চিকিৎসক। দুর্ব্যবহারের পাশাপাশি জোর করে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রে সই করিয়ে চিকিৎসক ওই রোগীকে হাসপাতাল থেকে ছুটি দিয়ে দেন বলেও অভিযোগ। বাধ্য হয়ে স্থানীয় কাউন্সিলরের সঙ্গে যোগাযোগ করেন ওই প্রসূতির বাবা গৌতম মণ্ডল। এরপর প্রশাসনের তরফে হাসপাতালে যোগাযোগ করা হয়।
অভিযোগ, এই বিষয়টি জানতে পেরে ফের রোগীর বাবার উপর চড়াও হন অভিযুক্ত মহিতোষ মণ্ডল। এরপর বাধ্য হয়ে রাত প্রায় সাড়ে ১১টা নাগাদ ওই যুবতীকে হাসপাতাল থেকে বের করে অন্য এক চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর অন্য হাসপাতালে ভরতি করা হয় ওই প্রসূতিকে। অভিযোগ, এই ঘটনার জেরেই বুধবার সকালে অভিযুক্ত চিকিৎসক মহিতোষ মণ্ডলের চেম্বারে ভাঙচুর চালান রোগীর পরিজনেরা৷ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় বনগাঁ থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। এখনও থমথমে গোটা এলাকা। যদিও চিকিৎসকের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.