নিজস্ব সংবাদদাতা,বনগাঁ: অন্তঃসত্ত্বা রোগীর সঙ্গে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ তুলে চিকিৎসকের চেম্বার ভাঙচুর৷ অশান্তির অভিযোগে তিনজনকে গ্রেপ্তার করল বনগাঁ থানার পুলিশ। সোমবার সকালে বনগাঁর মতিগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড চত্বর থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। চিকিৎসকের স্ত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে অভিযুক্তদের।
[আরও পড়ুন: গুমোট কাটিয়ে রাজ্যে ফের ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা, সতর্কতা হাওয়া অফিসের]
ঘটনার সূত্রপাত ১৮ মার্চ। এদিন স্থানীয় তৃণমূল নেতা গৌতম মণ্ডল তাঁর অন্তঃসত্ত্বা মেয়েকে বনগাঁ হাসপাতালে ভরতি করান। মহিতোষ মণ্ডল নামে এক চিকিৎসক তাঁর দেখভাল করছিলেন৷ অভিযোগ, হাসপাতালে ভরতির আগেও ওই চিকিৎসকের তত্বাবধানেই ছিলেন ওই গৃহবধূ। জানা গিয়েছে, ওই চিকিৎসক একটি বেসরকারি হাসপাতালে ওই যুবতীকে ভরতি করার পরামর্শ দিয়েছিলেন। তাঁর পরামর্শ না মেনে সরকারি হাসপাতালেই মেয়েকে ভরতি করায় তাঁর পরিবার৷ পরিবারের অভিযোগ, ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে চিকিৎসক মহিতোষ মণ্ডল রোগীর সঙ্গে দুর্ব্যবহার শুরু করেন৷ দুর্ব্যবহারের অভিযোগে ২০ মার্চ সকালে অভিযুক্ত চিকিৎসক মহিতোষ মণ্ডলের চেম্বারে ভাঙচুর চালান রোগীর পরিজনেরা৷ পুলিশের মধ্যস্থতায় তখনকার মতো স্বাভাবিক হয় পরিস্থিতি।
[আরও পড়ুন: মাত্র ২০হাজারেই নতুন মডেলের বাইক বিক্রি! বেআইনি কাজে পুলিশের জালে শোরুম ম্যানেজার]
তবে প্রথম থেকেই রোগীর পরিবারের তোলা অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন চিকিৎসক মহিতোষ মণ্ডল।সেই ভাঙচুরের ঘটনার প্রতিবাদেই বনগাঁ থানার দ্বারস্থ হয়েছিলেন মহিতোষ মণ্ডলের স্ত্রী। তদন্তে নেমেই সোমবার তিন অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে বনগাঁ থানার পুলিশ। তাদের মধ্যে একজন তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি গৌতম মণ্ডল। গ্রেপ্তারি প্রসঙ্গে প্রোগ্রেসিভ ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশানের সম্পাদক গোপাল পোদ্দার বলেছেন “অভিযুক্তদের ধরা হয়েছে, খবর পেয়েছি। এই ঘটনায় আরও যারা যুক্ত রয়েছে তাদেরও শাস্তি দেওয়া হোক, এমনটাই প্রশাসনের কাছে আমার অনুরোধ।” তিনি বলেন, এভাবে চিকিৎসকদের হেনস্তার ঘটনায় চিকিৎসার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। অবিলম্বে এই ঘটনার উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.