টিটুন মল্লিক, বাঁকুড়া: স্বাস্থ্যসাথী কার্ড (Swasthisathi Card) থাকা সত্ত্বেও নগদ টাকা দাবি। দিতে না পারায় অপারেশন টেবিল থেকে রোগীকে নামিয়ে দেওয়ার অভিযোগ বেসরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়ার কাটজুড়িডাঙা গোবিন্দনগর বাসস্ট্যান্ড এলাকায়। রোগীর আত্মীয়দের তরফে এ বিষয়ে বাঁকুড়া সদর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তদন্তে নেমেছে বাঁকুড়া সদর থানার পুলিশ।
পুরুলিয়ার রঘুনাথপুর থানার ফুলবেড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা পেশায় অটোচালক শেখ আলমগীর। গত সোমবার সকাল সাড়ে দশটার নাগাদ পেটে ব্যথা নিয়ে বাঁকুড়া বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন বেসরকারি নার্সিংহোমে ভর্তি হন তিনি। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে দশটার নাগাদ তাঁকে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যাওয়া হয়। ল্যাপ্র্যোস্কপি শুরুও করেছিলেন চিকিৎসক নিমাই মুর্মু। অভিযোগ, মাঝপথে অপারেশন বন্ধ করে রোগীর স্ত্রী শামিমাকে ডেকে পাঠান ওই চিকিৎসক। কিন্তু কেন? অভিযোগ, অপারেশন চলাকালীন আরও ২০ হাজার টাকা নগদ দাবি করেন চিকিৎসক। তৎক্ষনাৎ ওই নগদ টাকা না দিতে পারায় মাঝপথে অপারেশন বন্ধ করে দেন চিকিৎসক। এর পরই বেসরকারি নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে পুলিশের দারস্থ হন আলমগীরের দাদা শেখ জাহাঙ্গির।
কেন এই অমানবিকতা? স্বাস্থ্যসাথী কার্ড থাকা সত্ত্বে কেনই বা নগদ টাকার দাবি? উঠছে এহেন একাধিক প্রশ্ন। তবে নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ প্রসঙ্গটি নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছেন। জেলার মুখ্যস্বাস্থ্য আধিকারিক শ্যামল সাঁতরা এ প্রসঙ্গে বলেন, “বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেব। তবে এহেন ঘটনায় বেআব্রু হল বেসরকারি নার্সিংহোমের অমানবিক মুখ।” বাঁকুড়া সদর থানার ওসি দেবাশিষ পাণ্ডে বলেন, “ঘটনাটি শুনে অবাক হয়েছি। বেসরকারি হাসপাতাল ব্যবসা করছে বলে তাদের মানবিক দিক থাকবে না। তা কী করে হয়!”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.