সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সরস্বতী পুজো মানে সকাল বেলা স্নান করে নতুন জামাকাপড় পরে স্কুল কলেজে গিয়ে অঞ্জলি দেওয়া, পুজো শেষে প্রসাদ মুখে প্রসন্ন চিত্তে বাড়ি ফিরে যাওয়া, আবার বিকেলে বন্ধুদের সঙ্গে প্রতিমাদর্শন। এই চিরাচরিত ধারণা অনেকটাই পালটে গিয়েছে। এখন বিদ্যার দেবীর আরাধনাতেও ঢুকে গিয়েছে আধুনিকতা। শুধু আধুনিকতা বললে ভুল হবে কোথাও কোথাও উচ্ছৃঙ্খলতাও মাথাচাড়া দিচ্ছে শিক্ষাঙ্গনের আঙিনায়। তেমনই ছবি দেখা গেল বারাসত গভর্নমেন্ট কলেজে।
সরস্বতী পুজোর দিন অন্যান্য শিক্ষাঙ্গনের মতোই বাগদেবীর পুজোর আয়োজন করেছিল এই কলেজের ছাত্র সংসদ। কিন্তু আয়োজন শুধু পুজোর মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকেনি। রীতিমতো ডিজে বাজিয়ে গান এবং নাচানাচিরও আয়োজন করা হয়েছিল। পুজোর পরই কলেজের পড়ুয়ারা মেতে ওঠেন সেই ডিজের তালে। ছাত্রছাত্রী নির্বিশেষে আগত পড়ুয়ারা আধুনিক হিন্দি গানের তালে কোমর দোলান। আর এখানেই তৈরি হয়েছে বিতর্ক। ডিজে আওয়াজ কলেজের হলঘরের বাইরেও গিয়েছে। যাতে রীতিমতো সমস্যায় পড়েছেন স্থানীয়রা। শিক্ষাঙ্গনে বিদ্যাদেবীর আরাধনায় এই উচ্ছৃঙ্খলতা কেন? প্রশ্ন তুলছেন স্থানীয়দের একাংশ।
সামনেই আবার মাধ্যমিক পরীক্ষা। ১২ ফেব্রুয়ারি থেকেই জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষায় বসতে চলেছেন বারাসত সংলগ্ন এলাকার প্রচুর পড়ুয়া। পরীক্ষার মাত্র ৩ দিন আগে এই ডিজের আওয়াজ যে তাদের মনোসংযোগে ব্যাঘাত ঘটাবে সেকথা বলার অপেক্ষা রাখে না। শুধু, মাধ্যমিক কেন, উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষাও আসন্ন। আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি শুরু হচ্ছে উচ্চমাধ্যমিকও। এহেন গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষার আগে কলেজে ডিজে বাজিয়ে এই অভব্যতা কেন? এই ঘটনা অবশ্য শুধু বারাসতের নয়। গোটা রাজ্যেই বিভিন্ন প্রান্ত থেকে তারস্বরে মাইক বাজিয়ে নাচানাচির এই ছবি ধরা পড়েছে। এর জেরে পরীক্ষার মরশুমে বেশ বিপাকে পড়ুয়া এবং তাঁদের অভিভাবকরা। অনেক ক্ষেত্রেই পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন।
ভিডিও সৌজন্য: বাarasat City
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.